ভাইরাস থেকে বাঁচার জরুরি টিপস জেনে নিন
এখন বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্লু, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি এবং ক্লান্তি। সিরিয়াস ক্ষেত্রে, লক্ষণগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং মৃত্যুও থাকতে পারে।
-
ভ্রমণ বন্ধ: আপনার যদি ফ্লুর মতো লক্ষণ যেমন, কাশি, জ্বর, সর্দি বা হাঁচির মতো সমস্যা থাকে তবে যেকোনো ধরনের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
-
জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলুন: এমনও হতে পারে, কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই, কিন্তু তার মধ্যেও এই রোগের জীবাণু থাকতে পারে। কারণ এই সংক্রমণটি রোগীর মধ্যে ফুটে ওঠে ১৪ দিনের মধ্যে। তাই জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলুন।
-
নিজের চিকিৎসা করান: আপনি যদি করোনা ভাইরাস সংক্রামিত দেশ থেকে আসেন এবং ফ্লু-এর লক্ষণ ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
-
দূরত্ব বজায় রাখুন: যাদের ফ্লু বা সর্দির লক্ষণ রয়েছে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় ০.৫ মিটার থেকে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলুন।
-
হাত পরিষ্কার রাখুন: কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং পানি বা জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।
-
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন: প্রতিদিন আপনার বাড়ির চারপাশ, টেবিল, টয়লেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সুইচ এবং স্টেশনারি জিনিস পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
-
হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না: যখন কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি কোনো মাস্ক ছাড়াই হাঁচি দেয় বা কাশি হয়, তখন প্যাথোজেনগুলো ফোঁটা আকারে বেরিয়ে আসে এবং চেয়ার বা টেবিলের মতো জিনিসগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য কোনো ব্যক্তি যখন সেই জিনিসগুলোকে স্পর্শ করে এবং সেই হাত দিয়ে তার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করে, তখন রোগের জীবাণুগুলো এর মাধ্যমে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তাকে সংক্রামিত করে। প্যাথোজেন জিনিসগুলোতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে।
-
প্রবীণদের বিশেষ যত্ন: বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে বৃদ্ধ এবং পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের বিশেষ যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
-
মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন: আপনার যদি ফ্লু-এর মতো লক্ষণ থাকে এবং কাশি বা ঘন ঘন হাঁচি হয় তবে সবসময় টিস্যু ব্যবহার করুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।
-
মাস্ক স্পর্শ করবেন না: আপনি যদি মুখ এবং নাক ঢাকতে মাস্ক পরে থাকেন তবে খালি হাতে এটি স্পর্শ করবেন না। মাস্কটি ব্যবহারের পরে এটি নিরাপদে সরিয়ে ফেলুন বা একবার ব্যবহারের পর তা বাতিল করুন। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুয়ে ফেলুন।