করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে জরুরি ১০ তথ্য
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশও এই রোগি সনাক্ত করা হয়েছে।। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পরামর্শ দিয়েছে। সেসব পরামর্শ জেনে নিয়ে সবাই মেনে চলি।
-
সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে বারবার হাত ধোয়া: ভালো করে বারবার হাত ধুতে হবে। সাবান দিয়ে দিয়ে ভালো করে হাত ধুলে এই ভাইরাসটি হাত থেকে দূর হয়ে যায়। অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবা করার পর, হাঁচিকাশি দেয়ার পর, খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
-
দূরত্ব বজায় রাখুন: সর্দিকাশি, জ্বর বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে না যাওয়াই ভালো।
-
নিজের নাকমুখ স্পর্শ নয়: আমরা হাত দিয়ে সারাদিন নানা কিছু স্পর্শ করি। সেই সব জিনিস থেকে ভাইরাস হাতে লাগতে পারে। অপরিষ্কার হাত দিয়ে কখনো নাক মুখ চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
-
কাশি এলে যা করবেন: এই সময়ে কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় নাক, মুখ রুমাল বা টিস্যু, কনুই দিয়ে ঢাকুন। টিস্যুটি দূরে ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
-
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে নয়: বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবেন না।
-
খাদ্য গ্রহণে সাবধানতা: কাঁচা মাছ মাংস আর রান্না করা খাবারের জন্য আলাদা চপিং বোর্ড, ছুরি ব্যবহার করুন। কাঁচা মাছ মাংস ধরার পর ভালো করে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করা খাবার খান।
-
ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন: কোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশভ্রমণ করা না করাই ভালো। একান্ত প্রয়োজনে ভ্রমণের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
-
অতিথি অভ্যর্থনায় সতর্কতা গ্রহণ করুন: এই সময়ে কারাও সঙ্গে হাত মেলানো, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন।
-
ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিতে হবে: কোনো কারণে অসুস্থ হলে, জ্বর হলে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে নিকটস্থ ডাক্তারের বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।
-
গুজবে কান দেনে না: একটি মহল এমন সঙ্কটময় সময়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। তাই সঠিক তথ্য-উপাত্ত পেতে নিজেকে আপডেট রাখুন। কোনো গুজবে কান দেবেন না। আশপাশের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করুন।