ব্যতিক্রমী উপায়ে ফল ও সবজি টাটকা রাখবেন যেভাবে

আলু-পেঁয়াজ: আলু আর পেঁয়াজ কখনও একসঙ্গে রাখবেন না, নইলে দুটোই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আলুর ঝুড়িতে ভরে খাট বা সোফার তলায় রাখুন। কোনো কোনো ফ্রিজে আলাদা করে আলু রাখার ক্রেট বা খাপ থাকে। পেঁয়াজ ভাল থাকে কাগজের ঠোঙায়। তবে পেঁয়াজ রাখার ঠোঙার গায়ে অবশ্যই বেশ কয়েকটা ফুটো করে নেবেন। তাতে হাওয়া চলাচল হবে ও পেঁয়াজ-রসুন বেশি দিন ভালো থাকবে।

রসুন: পেঁয়াজের মতোই রাখুন রসুনকে। কাগজের ঠোঙায় রেখে, ফুটো করে দিন কয়েকটা। খোলা জায়গায় রাখুন। এভাবে রাখলে ফ্রিজে না রাখলেও ভালো থাকবে রসুন।

নিমপাতা: ফ্রিজেও বেশি দিন এই পাতা রাখলে তা শুকিয়ে নেতিয়ে যায়। তাই নিমপাতা কিনে এনে ভেজে ফেলুন তার পর একটা বয়ামে তা ভরে ভালো করে ঢাকাবন্ধ করে রেখে দিন। বাইরের হাওয়ার সংস্পর্শে না এলে তা মুচমুচে থাকবে বহুদিন।

টমেটো: টমেটো ফ্রিজে রাখলে দ্রুত খারাপ হবে। টমেটোকে একটা কাঠের ট্রেতে রাখুন টমেটো। অবশ্যই বোঁটার দিকটা নিচের দিকে রেখে টমেটো স্টোর করুন। বরং বাইরে কোনো ঝুড়িতে টমেটো রাখুন।

ফল: আপেল, কলা, লেবুর মতো ফল একসঙ্গে না রাখাই উচিত। প্রতিটি আলাদা আলাদা ঝুড়িতে রাখলে বেশিদিন টাটকা থাকবে, কালো হবে না। কলা একটু কাঁচা বা সবুজ অবস্থায় কিনলে কাঁদি থেকে বাদ না দিয়ে গোড়ার দিকটা ফয়েল পেপারে মুড়ে রেখে দিন। তাতে কলা একটুও কালো হয় না।

শাক: বাড়িতে এনেই শাক ধুয়ে ছাড়িয়ে সংরক্ষণ করে রাখেন অনেকে। শাক কিন্তু টাটকা রাখতে চাইলে বাড়িতে এনেই ধোয়ার দরকার নেই। বরং ঝুড়িতে ভরে অন্ধকার অথচ হাওয়া চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন। রান্না করার আগে ধুয়ে নিলেই চলবে।

কাঁচা মরিচ: বাতাস ঢোকে না এমন কোনো পাত্র থাকলে তাতে রাখুন কাঁচা মরিচ। রাখার আগে পাত্রের নিচে হালকা নরম কাপড় বিছিয়ে দেবেন। মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখুন। এতে মরিচ সহজে পচে না। এবার মুখ বন্ধ পাত্রটি অন্য আর একটি নরম কাপড়ে ঢেকে নিন। বাড়ি থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলেও এইভাবে রেখে যেতে পারেন কাঁচা মরিচ। এরপর এই পাত্র ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখতেও পারেন। আরও ভালো ফল পেতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেঁচিয়ে রাখুন কাঁচা মরিচ।

কাঁচা মরিচ ভালো রাখার অন্যতম উপায় চেন টানা ছোট ব্যাগ। এতেও রাখতে পারেন কাঁচা মরিচ। এ ক্ষেত্রেও কাঁচা মরিচের বোট ছিঁড়ে নেবেন। এই ব্যাগ ফ্রিজে রাখুন।