হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার সহজ উপায়
বর্তমানে অল্প বয়সী অনেক মানুষও হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন যে কোনো বয়সী মানুষেরই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে সারা বছরই বেশ কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা উচিত। তাই জেনে নিন সহজে হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে যা করবেন।
-
কম বয়স থেকেই হার্টের যত্ন নেয়া অভ্যাস করুন। বাড়িতে শিশু থাকলে তাকেও এ সম্পর্কে সচেতন করুন। হৃদযন্ত্রে জটিলতা না থাকলেও প্রতি তিন মাসে চেক আপ করান বাড়ির সব সদস্যের হার্ট। শৈশব থেকেই হার্টের যত্নের গুরুত্ব বুঝিয়ে শিশুকে এ সম্পর্কে সচেতন করে রাখুন।
-
আমেরিকান হার্ট রিসার্চ অ্যাসোশিয়েশন বলছে, জোরে হাসুন। প্রাণ খুলে হাসলে হার্টের ভাল্ব ভালো থাকে। জোর করে হাসি নয়, মন ভালো থাকার কাজে যুক্ত থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাসুন।
-
হার্ট ভালো রাখতে আজই ছাড়ুন সিগারেট। প্যাসিভ স্মোকিংও সমান ক্ষতিকর। হার্টের সিংহ ভাগ ক্ষতি হয় নিকোটিন থেকে।
-
হার্ট ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সব্জি খান। তেল, মাখনও নিয়ন্ত্রণ করুন। রেড মিট থেকে চাইলে চর্বি বাদ দিয়ে কিনুন। তা-ও সপ্তাহে এক দিন দু’টুকরোর বেশি নয়। আধুনিক গবেষণা বলছে, কার্বোহাইড্রেটও হার্টের জন্য ভালো নয়। তাই লো কার্বস ডায়েট বজায় রাখুন।
-
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ বেরনো সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে যে পরিমাণ লবণ খান, তা থেকে অর্ধেক চামচ নুন কমিয়ে দেখুন! হার্টের অনেক অসুখ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে।
-
হার্টের পক্ষে উপকারী ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন পেতে রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন আমন্ড ও কাজুবাদাম। কার্ডিওভাস্কুলারের নানা অসুখ রুখে দিতে পারবে এই খাবার।
-
সময়ে সকালের নাস্তা সারুন। আমরা অনেকেই সকালের জন্য আলাদা করে সময় দিই না। মাঝেমধ্যে সকালেরর নাস্তা না করেই সরাসরি দুপুরের খাবার খাই। এই অভ্যাস হার্টের জন্য একেবারে ভালো নয়। বরং ভারী সকালের নাস্তা করুন। দুপুর ও রাতের খাবার রাখুন হালকা।
-
ডার্ক চকোলেট রাখুন ডায়েটে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাবোনেট হার্টের পেশীর জন্য খুব উপকারী। তবে দিনে তিন-চার টুকরোর বেশি খাবেন না।
-
জাঙ্ক ফুড ও ঠান্ডা পানীয় একেবারে নয়। হার্টের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকারক এই ধরনের খাবার। এই খাবারগুলোর ফ্যাট, অ্যাডেড সুগার ও সংরক্ষণের উপযোগী করে তোলার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
-
শারীরিক পরিশ্রম করুন। কিছু না পারলে জোরে হাঁটুন অন্তত আধ ঘণ্টা। শরীরের সঙ্গে মনেরও যতœ নিন। মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকুন। প্রিয় জনের সঙ্গে হাসি-আনন্দ-খুনসুটিতে ভরিয়ে রাখুন জীবন। ব্যক্তিগত ভাবে সুখী মানুষের হার্টের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো হয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।