জেনে নিন বিশ্বের কোন দেশে কী খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ
নতুন নতুন খাবার চেখে দেখা প্রায় সব মানুষের কাছেই প্রিয়। কিন্তু এই বিশ্বে এমন অনেক অদ্ভুত খাবার রয়েছে যা চেখে দেখা তো দূরের কথা, নামও হয়ত আপনি শোনেননি কোনো দিন। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যা কোনো দেশের জাতীয় খাবার হিসেবে পরিচিতি পেলেও অন্য দেশে নিষিদ্ধ। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশে কোন কোন খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
-
ভেড়ার হার্ট, যকৃত এবং ফুসফুসের মিশেলেও যে রান্নার পদ তৈরি হতে পারে, জানতেন! এটি আবার স্কটল্যান্ডের জাতীয় খাবার! পেঁয়াজ, রসুন, ওট-মিল এবং নানান ধরনের মশলার সহযোগে ভেড়ার পাকস্থলীর ভিতর সেই মিশ্রণ ভরে রান্না করা হয় এই অদ্ভুত খাবার ‘হাগিস’। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলে এই হাগিস মিলবে না মোটেও। ভেড়ার ফুসফুসই যে নিষিদ্ধ সেখানে।
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিউয়িং গাম প্রীতির কথা তো প্রায় সবারই জানা। আর পশ্চিমী দেশের প্রভাবে ভারতীয়দেরও চিউয়িং গাম প্রীতি কিছু কম নয়। তবে আপনি কী জানেন সিঙ্গাপুরে চিউয়িং গাম খেলে আপনার শুধু জরিমানা নয়, এমনকি দুই বছরের জন্য জেলও হতে পারে! তাই সিঙ্গাপুর বেড়াতে গেলে সাবধান। ভুলেও চিউয়িং গাম খাবেন না।
-
স্যামন মাছের কথা তো নিশ্চই শুনেছেন। স্বাদের জন্য ভোজন রসিকদের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই রয়েছে এই মাছ। প্রাকৃতিকভাবে হওয়া স্যামন নিয়ে সমস্যা না থাকলেও ঘিঞ্জি ভেড়িতে চাষ করা স্যামন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ। এই ধরনের স্যামনের দেহ থেকে এমন কিছু বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
-
পেঁপে তো ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। পেটের অসুখ অথবা অন্য যে কোনো ব্যাধিতে ডাক্তাররা সচরাচর রোগীকে পেঁপে খেতে বলেন। কিন্তু জিন প্রযুক্তিতে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি পেঁপে নিষিদ্ধ করেছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
-
পৃথিবীর শৌখিন খাবারের মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার। দামও আকাশছোঁয়া। মূলত নোনা জলের মাছের ডিম থেকেই তৈরি হয় এই খাবার। এদের মধ্যে সবচেয়ে দামি ক্যাভিয়ার তৈরি হয় বেলুগা মাছের ডিম থেকে। এদের আয়ু একশো বছর এবং ডিম পাড়তে সময় নেয় প্রায় ২৫ বছর। বর্তমানে এই মাছ বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে গণ্য হওয়ায় এর চাষ, কেনাবেচা নিষিদ্ধ। তবে আইনের ফাঁকফোকরের মাঝে এখনো বিক্রি হয় বেলুগার সুস্বাদু ডিম।
-
ফ্যাটি লিভার কখনো কারো খাদ্য তালিকায় কি জায়গা করে নিতে পারে? তাও আবার হাঁস এবং রাজহাঁসের! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ জনপ্রিয় খাবার এটি। একে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘ফয়ি গ্রাস’। পাখিগুলোকে জোর করেই খাইয়ে তাদের লিভারে ফ্যাট জমানো হয়। ক্যালিফোর্নিয়া যদিও পাখিদের উপর এমন নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ জানিয়ে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
-
হাঙর নিয়ে কতশত গল্পই রয়েছে। রয়েছে কত সিনেমাও। কিন্তু এই হাঙরের পাখনাও নাকি খাদ্য! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক সময় এই খাবার বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও হাঙর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইন করে বন্ধ করেছে এর কেনাবেচা।
-
র্যাক্টোপামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যা গবাদি পশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অনেকে মনে করেন এই রাসায়নিক মানবদেহে হার্টের অসুখ সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৪ সালে আইন করে চীন, ইউরোপ এবং রাশিয়াসহ ১৬০টি দেশে এই রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এখনও র্যাক্টোপামিন নিষিদ্ধ করেনি।
-
জামাইকার জাতীয় ফল অ্যাকি নিষিদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পাকা অবস্থায় এই ফল খেলে কোনো ক্ষতি না হলেও কাঁচা অবস্থায় এই ফল কোনোভাবে খেয়ে নিলে বমি, নানা ধরনের অসুখ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।