প্রতিদিন কতটুকু কাঁচামরিচ খেলে অনেক রোগ থেকে বাঁচবেন?
গরম ভাত, আলু সেদ্ধ আর ঘি-এর সঙ্গে যদি একটা কাঁচামরিচ থাকে, তার কাছে হার মানে বহু মশলাদার খাবার। আবার যে কোনো রান্নাতেই একটু কাঁচামরিচ দিলে স্বাদেও তা বেশ অন্যরকম হয়। শুধু স্বাদ নয় পরিমাণমত প্রতিদিন কাঁচামরিচ খেলে অনেক রোগ সেরে যাবে। জেনে নিন রোগ সারাতে কী পরিমাণ কাঁচামরিচ খাবেন।
-
চিকিৎসকদের মতে, কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয় কাঁচামরিচের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও। তবে পরিমাণে জেনে খেতে হবে। অতিরিক্ত ঝালে ক্ষতি হবে খাদ্যনালীর। এমনকি অস্ত্রোপচারও করা লাগতে পারে।
-
তবে পরিমিত পরিমাণে মরিচ খাওয়ার অনেক ভালো দিকও রয়েছে। প্রত্যেকেরই উচিত একটু সয়ে নিয়ে হলেও মরিচের ছোঁয়া খাবারে থাকা। তেমনইবলছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, অনেক অসুখেরও দাওয়াই রয়েছে এই কাঁচামরিচ।
-
অনেকেই জানেন না, কাঁচামরিচ খাবার হজমে মহৌষোধির মতো কাজ করে। খুব তেল-মশলার রান্নায় ঝালের পরিমাণ কমিয়ে দিন বরং। অনেকটা মরিচ স্বাদ বাড়ালেও হজমে সমস্যা করে। উল্টে হালকা ঝাল হজমে সাহায্য করে। তাই ঝালের নিয়ন্ত্রণেই হজম ক্ষমতাকে সক্রিয় রাখুন।
-
কাঁচামরিচ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন থাকায় হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। ভিটামিন সি-এর পরিমাণও মরিচে বেশি থাকে। তাই ত্বকের উপকারেও আসে কাঁচামরিচ। মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না।
-
কাঁচামরিচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। ফলে কাঁচামরিচ শরীরকে জ্বর,সর্দি-কাশি ইত্যাদি থেকে বাঁচায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে কাঁচামরিচ হাত ধরে।
-
প্রস্টেট ক্যানসারে ঝুঁকি কমাতে কাঁচামরিচ কার্যকরী। এছাড়াও স্নায়ুরোগ নিরাময়েও কাজে লাগে কাঁচামরিচ। তাই দীর্ঘমেয়াদী স্নায়বিক অসুখের পথ্য হিসাবে কাজে আসে কাঁচামরিচ।
-
কাঁচামরিচ খেলে মস্তিষ্কে সুখী হরমোন এনডরফিন নিঃসৃত হয়। তাই খাবারে স্বাদ যোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনটাও আনন্দিত হয়। ভালো খাবারের স্বাদ নেওয়ার পর মন-মেজাজ ভালো রাখার এটাও অন্যতম কারণ।
-
ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম কাঁচামরিচ। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ক্রনিক অসুখ ও সংক্রমণ থেকেও শরীরকে দূরে রাখে।
-
কাঁচামরিচ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মরিচের বীজ এই কাজে খুবই কার্যকর। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলে ভুগতে থাকা রোগীদের পাতে মরিচের উপস্থিতি কাজে আসে।
-
তবে খুব বেশি মরিচে না বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শুকনো মরিচের ঝালে কোনো সায় নেই তাদের। এতে বরং খাদ্যনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খেলে একটা সময়ের পরে খাবার আর হজম হতে চায় না।
-
খুব ঝাল খেতে খেতে এক সময়ে জিভের স্বাদও কম অনুভব হতে থাকে। তাই ঝাল-মিষ্টি-টক কোনো কিছুই আলাদা করে বুঝতে পারা যায় না।