ব্রিটিশ খাবারের স্বাদ কেমন

২৮ এপ্রিল ‘দ্য গ্রেট ব্রিটিশ ফুড ফেস্টিভ্যালটি’-এর উদ্বোধন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

উৎসবের অকৃত্রিমতা বজায় রাখতে বাছাইকৃত ব্রিটিশ উপাদান থেকে খাবার প্রস্তুত করছেন লা মেরিডিয়ান ঢাকার এক্সিকিউটিভ শেফ অস্টিন রিড।

ব্রিটিশ আবহের পূর্ণতা দিতেই পুরো উৎসব জুড়ে বাজানো হচ্ছে বিটলস, রোলিং স্টোন, ওয়েসিস, দ্য প্রোক্লেইমার্স, এলটন জন, দ্য কিংকস, ভ্যান মরিসন, এড শীরান এবং কিজার গান।

আয়োজনে থাকছে মুখরোচক নানা খাবারের পদ যেমন: মিনি ক্লাসিক প্রন ককটেল, সিয়ার্ড টুনা, কালেন স্কিঙ্ক স্যুপ উইথ শিভ শ্যান্টিলি অ্যান্ড স্প্রিং অনিয়ন-পার্সলি অয়েল, ডিপ ফ্রাইড ফিশ অ্যান্ড চিপস উইথ টারটার সস অ্যান্ড ফ্রেশ লেমন, স্কচ কুইল এগ উইথ পার্সলি রেম্যুল্যাড, ক্রাঞ্চান, স্টিকি টফি পুডিং, বেকওয়েল টার্ট এবং চকলেট ব্রেড অ্যান্ড বাটার পুডিং।

এছাড়াও, উৎসবে থাকা রোস্ট কর্নারে পাওয়া যাবে রোস্টেড লেগ অব ল্যাম্ব, বিফ রিব এবং ক্যারট অ্যান্ড পোটেটো ফন্ড্যান্টস।

এ আয়োজন নিয়ে লা মেরিডিয়ান ঢাকার মহাব্যবস্থাপক কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্যাভ্রিয়েল বলেন, ‘ব্রিটিশ খাবারগুলোতে যেমন ব্রিটেনের রাজকীয় ঐতিহ্যবাহী দিকটি প্রকাশ পায়, একই সাথে ফুটে ওঠে এর রন্ধনশৈলীর ঐশ্বর্যমণ্ডিত দিকটিও।

ব্রিটিশ খাবারের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদনে নগরবাসীর জন্যে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করবে এ উৎসব।’ ব্রিটিশ ফুড উইক চলাকালীন সময়ে বুফে ডিনারের জন্যে জনপ্রতি খরচ হবে ৩৯০০ টাকার বেশি। এর বাইরে, এ উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডের সাথে থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার।

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন উৎসব নিয়ে বলেন, ‘বিগত ৩০ বছরে ব্রিটিশ রন্ধনশৈলীতে রীতিমত এক ধরনের বিপ্লব ঘটে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে এইন্সলি হ্যারিয়েট, জেইমি অলিভার, হেস্টন ব্লুমেনথাল এবং বাংলাদেশি বংশদ্ভুত নাদিয়া হুসেইনের মত গুণী রন্ধন শিল্পীদের জন্য।’

এছাড়াও, উৎসব চলাকালীন সময়ে ‘লেটেস্ট রেসিপি’ রেস্টুরেন্টকে ব্রিটিশ আবহে সাজাতে তৈরি করা হয়েছে লন্ডন ব্রিজ, লন্ডন আই, পার্লামেন্ট হাউজের থিম এবং গ্রেট ব্রিটেনের চারটি রাজ্য যথাক্রমে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডের পতাকা।