আয়ু বাড়াতে নিয়মিত যে ৮টি খাবার খাবেন
আমাদের আয়ু গত কয়েক দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি নানা ধরনের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের প্রকোপও দেখা দিয়েছে। এখনকার প্রজন্ম আগের চেয়ে অনেক কম বয়সেই হৃদরোগ, চোখের সমস্যা বা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে অল্পবয়সে অনেকেই মারা যায়। এবার জেনে নিন নিরোগ থেকে আয়ু বাড়াতে নিয়মিত যে ৮টি খাবার খাবেন।
-
আমলকি: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি রোগ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে আপনার দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলে। এটি বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ এবং আয়ু বাড়াতে বেশ কার্যকর একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
-
আদা: আদাতে রয়েছে উচ্চহারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এতে ২৫টি ভিন্ন ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহে থাকা সেসব ফ্রি র্যাডিকেলস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে যেগুলো রোগ-বালাই তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এবং দেহকে হার্ট সমস্যা, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এবং ক্যান্সারের মতো দুর্গম রোগ থেকে রক্ষা করে।
-
এলাচ: চীনা ঐতিহ্য অনুসারে এলাচ চা পান করলে দীর্ঘায়ু অর্জিত হয়। এলাচ চা দেহকে বিষমুক্তকরণ এবং দেহের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে পরিষ্কারকরণে কাজ করে। এটি গন্ধসার তেল সমৃদ্ধ যা আপনার দেহের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচলাচল জোরদার করে এবং জীবনীশক্তি ধরে রেখে দেহের শক্তিও মাত্রাও উন্নত করে।
-
আজওয়াইন: আজওয়াইন বীজ হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে নায়াসিন এবং থাইমল যা হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া এটি একটি শক্তিশালী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
-
জিরা: জিরা বীজ আপনার পাকস্থলীর সব ধরনের সমস্যার জন্য সেরা ওষুধগুলোর একটি হিসেবে কাজ করে। জিরা আয়রন এবং খাদ্যগত আঁশের অসাধারণ একটি উৎস। এটি পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক পাচকরসমূহের উৎপাদন বাড়ায় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে প্রশমিত করে। রাতে একগ্লাস পানিতে পরিমাণমতো জিরা ভিজিয়ে রেখে সকালে তা পান করুন। এতে আপনার হজমক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি দিনব্যাপী পরিপাকতন্ত্রও ভালো থাকবে।
-
লবঙ্গ: এতে রয়েছে ছত্রাকনাশক, ব্যাকটেরিয়ারোধী, জীবাণুনাশক এবং বেদনানাশক উপাদান। এছাড়া এতে আরো রয়েছে বিস্ময়কর সব রোগপ্রতিরোধী উপাদান। লবঙ্গতে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ যা আপনার পরিপাকতন্ত্রের ব্যবস্থাপনা এবং আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর।
-
গোল মরিচ: বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রান্না পদ্ধতিতে ব্যবহৃত একটি সার্বজনীন মশলা হলো গোল মরিচ। গোল মরিচে থাকা পিপারাইন হলুদে থাকা সারকুমিন শোষণে সহায়তা করে। এটি গোল মরিচের শক্তিশালি স্বাস্থ্য উপকারিতামূলক উপাদান। এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে আরো শক্তিশালীকরণেও কাজ করে।
-
মধু: রাশিয়ার অধ্যাপক নিকোলাল ভ্যাসলিয়েভিচ-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাশিয়ার ককেশাস পর্বত এলাকার বাসিন্দাদের যারা ১২৫ বছরেরও বেশি বছর আয়ু পেয়েছেন তারা নিয়মিতভাবে মৌচাক থেকে সংগ্রহ করা তাজা মধু খেতেন।