আপনার মাথার কোন স্থানে কিসের ব্যথা জেনে নিয়ে চিকিৎসা করুন
মাথা ব্যথা মানেই পরিচিত কোনো পেইন কিলার খেয়ে নেয়া- এমনটাই করেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা বলছে, এটা কখনোই করা উচিত নয়। কারণ মাথা ব্যথা মূলত ৮ রকমের হয়। এই ব্যথার কারণ জেনে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
-
মাইগ্রেন : সাধারণত মাথার এক দিকে ব্যথা শুরু হয়। তারপরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা মাথায়। মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ে গবেষণা চললেও এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনো চিকিৎসা বা ওষুধ বের হয়নি। পেইন-কিলারই একমাত্র উপায়, যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া কখনওই উচিত নয়।
-
টেনশনের ব্যথা : সারা মাথা জুড়েই এই ব্যথা হয়। মনে হয় মাথাটা কেউ চেপে ধরে রেখেছে। সাধারণত ‘ওটিসি পেন রিলিভার’ জাতীয় ওষুধেই কাজ হয় এমন ব্যথায়।
-
সাইনাস : এ ক্ষেত্রে ব্যথা হয় চোখে ও গালে। সাইনাস টিউবে যে মিউকাস জমে, তা পরিষ্কার রাখাই এই ব্যথার প্রতিরোধ। তবে বেশিরভাগ সময়েই সাইনাসের ব্যথাকে মাইগ্রেনের ব্যথা বলে ভুল করে মানুষ।
-
বাজ পড়ার মতো ব্যথা : কয়েক মিনিটের জন্য এই ব্যথা হতে পারে। মনে হয় যেন মাথার উপর বাজ পড়ছে। এমন ব্যথা কখনওই অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। স্ট্রোক, ব্রেন হেমারেজের মতো মারাত্মক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
ক্লাস্টার : সাধারণত শুরু হয় একটি চোখের পিছন দিক থেকে। তারপরে তা ছড়িয়ে পড়ে। নাক বন্ধ হয়ে যায় ও চোখ থেকে জলও পড়ে।
-
অ্যালার্জি থেকে মাথা ব্যথা : মাথার উপরে ব্যথা হয়। সঙ্গে হাঁচি, নাক থেকে জল পড়া, চোখ থেকে জল পড়া মানে বুঝতে হবে কিছু থেকে অ্যালার্জি হয়েছে।
-
এয়ারপ্লেন ব্যথা : বাতাসের চাপ কমা-বাড়ার উপর নির্ভর করে এই মাথা ব্যথা। পরিমাণ মতো জল খাওয়া ও ওটিসি পেন রিলিভার’ জাতীয় ওষুধেই কাজ হয় এমন ব্যথায়।
-
দৈনন্দিন চাপের জন্যই হয় এমন ব্যথা। বেশি মাত্রায় ওয়ার্কআউট করলেও হতে পারে এমন ব্যথা। এই ব্যথা হতে পারে মাথার যে কোনও জায়গায়।