দ্রুত মেদ ঝরাতে যা খাবেন
নানা রকম অনিয়মে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভুঁড়ি ও পেটের বাড়তি চর্বি। এবার জেনে নিন যেসব শাক-সবজি খাদ্যতালিকায় রাখলে মেদ কমে যাবে।
-
শাক : বিভিন্ন শাক ও সবুজ পাতা খাদ্য তালিকায় রাখলে ভুঁড়ি কমে যাবে। চিকিৎসকদের মতে, যেসব খাবারে পেটের চর্বি কমে, শাক তাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রেকফাস্ট বা দুপুরে পাতে রাখুন শাক। কম ক্যালোরির এই খাবার অনেকের হজমের সমস্যা করে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ বুঝে শাক খান।
-
ব্রকোলি : এতে প্রচুর ফাইবার, বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ভিটামিন তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে ফটোকেমিক্যাল। এটি চর্বি জমতে দেয় না শরীরে। তাই ব্রকোলিতে ভরসা রেখে কমিয়ে ফেলুন ভুঁড়ি। শীতে চুটিয়ে খান ফুলকপি। ফুলকপিরও রয়েছে একই গুণ।
-
কাঁচা মরিচ : অনেকেই ঝাল খান না। কিন্তু ফ্যাট কমাতে মরিচের ভূমিকা জানলে, পাতে রোজই নেবেন একটি করে কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচ ক্যালোরি পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শরীরে জমতে থাকা চর্বি অক্সিডাইজ করে। ফলে চর্বি জমে থাকতে পারে না। কাঁচা মরিচে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় তা শরীরের অন্যান্য উপকারও করে।
-
মাশরুম : মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটি প্রোটিনে ঠাসা। শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি জমা রোধ করতে পারে সহজেই।
-
গাজর : কম ক্যালোরির খাবারের মধ্যে গাজর থাকবে প্রথম সারিতে। ফাইবারে ঠাসা গাজরের রস নিয়ম মেনে খেতে পারলে কমবে ভুঁড়ি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে চেহারাকে অনেক তাড়তাড়ি সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারে এই খাবার।
-
কুমড়া : বেশি ফাইবার আর কম ক্যালোরির খাবার হল কুমড়ো। ভুঁড়ি কমাতে রোজ ডায়েটে কুমড়া রাখার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া কুমড়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য, এটি ক্যানসার প্রতিরোধক। তাই রোজের খাবারে কুমড়া রাখুন।
-
শশা : গোটাটাই ফাইবার আর জলে ভর্তি। তাই ডিটক্সিফিকেশনের গুণ রয়েছে শশায়। ফাইবারের আধিক্য খিদেও কমায়। শরীরের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে মেনুতে রোজ রাখুন শশা। সঙ্গে যদি টক দই রাখতে রাখেন তা হলে আরও ভাল।