ঔষধ ছাড়াই অনিদ্রা সমস্যা কাটাবেন যেভাবে
সারাদিন পরিশ্রমের পরেও রাতে ঘুম না আসার সমস্যা নতুন নয়। এপাশ ওপাশ করতে করতেই রাত শেষ হয় অনেকের। ঘুমের জন্য অনেকে ওষুধ খান। জেনে নিন কী কী উপায় মানলে আপনিও কোনো রকমের ঔষধ ছাড়া ঘুমাতে পারবেন।
-
পা ভিজা অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না। চিকিৎসকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রার একাংশ নিয়ন্ত্রণ করে পা। তাই পা ভিজে রাখলে শরীরের তাপে ভারসাম্য থাকে না। কাজেই ভাল করে পা মুছে, শুকনো পায়ে উঠুন বিছানায়।
-
প্রতিদিন ঘুমতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রাখুন। ঘুমের জন্য হাতে বেশি সময় থাক বা না থাক, ঘুমতে যাওয়ার সময়টা যেন নির্দিষ্ট থাকে। ঘন ঘন সময় বদলালে আমাদের বায়োলজিক্যাল ক্লক সে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না। ফলে ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের। এছাড়া সুস্থ থাকতে দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের জন্য বরাদ্দ রাখুন।
-
ফোন থেকে দূরে থাকুন। ঘুমের সবচেয়ে ব্যাঘাত ঘটায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। তাই ঘুমতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ঘাঁটা থেকে বিরত থাকুন। সময়ে ঘুম না আসার নানা কারণের মধ্যে এর প্রভাবই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মত চিকিৎসকদের।
-
অনেকেরই অভ্যাস থাকে ঘুমনোর সময় বই পড়ার। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, এড়িয়ে চলা উচিত সেটাও। ঘুমের আগে দীর্ঘক্ষণ বইয়ে মুখ গুঁজে থাকলে চাপ পড়ে চোখে। মস্তিষ্কও সচল থাকে একটু বেশিই। কাজেই ঘুম আসতে দেরি হয়।
-
ঘুমাতে যাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে সারুন রাতের খাওয়া। চার ঘণ্টা আগেই নিয়ে নিন সে দিনের শেষ কফি বা চা। এই দুই নিয়মে অভ্যস্ত হতে পারলে ঘুম আসবে সহজেই। কফি বা চা আমাদের শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে। এছাড়া রাতে শরীরের পরিপাক পদ্ধতি ধীর গতিতে চলে। তাই ঘুমানোর মুখে এড়িয়ে চলুন এসব।
-
তোষক ও বিছানাও কিন্তু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোর অন্যতম কারণ। খেয়াল রাখুন, সেসবের গুণগত মান যেন উন্নত হয়। ভাল কোম্পানির আরামদায়ক তোষকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালভাবে হয়। স্নায়ু ও পেশীরা আরাম পায়। ঘুম আসে নিমেষে।
-
তোষক ও বিছানাও কিন্তু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোর অন্যতম কারণ। খেয়াল রাখুন, সেসবের গুণগত মান যেন উন্নত হয়। ভাল কোম্পানির আরামদায়ক তোষকে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল ভাবে হয়। স্নায়ু ও পেশীরা আরাম পায়। ঘুম আসে নিমেষে।