কমলালেবুর চেয়ে কমলার খোসাই বেশি উপকারী!
কমলালেবু খাওয়া হয়ে গেলেই আমরা কমলালেবুর খোসা ফেলে দিই। কমলালেবু যেমন শরীরের জন্য উপকারী, সেরকম এর খোসাতেও অনেক গুণ আছে। কমলার খোসা থেকে আমরা কী কীভাবে উপকৃত হই তা জেনে নিন।
-
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে : কমলালেবুর খোসায় হেসপেরিডিন থাকে, যা রক্তচাপের মাত্রা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।
-
অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে : হিস্টামাইন মৌলের প্রভাবে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। কমলালেবুর খোসা হিস্টামাইনের মাত্রা প্রতিরোধ করে।
-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : কমলালেবুর খোসা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির হার কমিয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘স্কিন ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, স্কোয়ামস সেল কার্সিনোমা-এই বিশেষ ধরনের চামড়ার ক্যান্সার হওয়া থেকে কমলালেবুর খোসা প্রতিরোধ করে।
-
ওজন কমায় : বিপাকীয় ক্রিয়ার মাত্রা বাড়িয়ে স্নেহ পদার্থ ঝরাতে সাহায্য করে। ফলে দেহের ওজন কমে।
-
হজমে সাহায্য করে : কমলালেবুর খোসায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় তা হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
-
হ্যাংওভার কাটায় : কমলালেবুর খোসা ১৫-২০ মিনিট জলে ফুটিয়ে সেই জল চায়ের মতো পান করলে হ্যাংওভার সহজেই কেটে যায়।
-
মুখের দুর্গন্ধ কমায় : দাঁতে ক্যাভিটি সৃষ্টি হলে অনেক সময় মুখে বাজে গন্ধ হয়। কমলালেবুর খোসা সেই গন্ধ প্রতিরোধে সক্ষম।
-
সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করে : কমলালেবুর খোসায় ভিটামিন এ ও সি থাকে। এছাড়াও এক প্রকার প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
-
অ্যাজমা প্রতিরোধ করে : যারা অ্যাজমায় ভোগেন, তাদের শ্বাসনালিতে ফ্লেগম জমে। এই ফ্লেগম হল একপ্রকার সান্দ্র তরল পদার্থ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক গতিকে হ্রাস করে। কমলালেবুর খোসা শ্বাসনালিতে ফ্লেগম জমার পরিমাণ কমিয়ে দেয়।