পেয়ারায় মিলবে রকমারি সমস্যার সমাধান
পেয়ারা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর ফল। একটি পেয়ারাতে চারটি আপেল, চারটি কমলা লেবুর সমান খাদ্যগুণ রয়েছে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পেয়ারার তুলনা হয় না। পেয়ারা খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করেন। ছবি: সংগৃহীত
-
পেয়ারায় ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসও প্রচুর পরিমাণে থাকে। শুধু পেয়ারা নয় এর পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস সারাতে পেয়ারা ও এর পাতা দুর্দান্ত কার্যকরী।
-
পেয়ারা ও এর পাতায় আছে হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজবিরোধী প্রভাব। যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার উপকারিতার বিষয়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। একইসঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বশে থাকে। যা হৃদরোগের জটিলতা কমায়।
-
পেয়ারা শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন (এক ধরনের ডায়েটারি ফাইবার)। যা অন্ত্রের মাধ্যমে গ্লুকোজ শোষণে বিলম্ব করে, ফলে শরীরে হঠাৎ করে চিনি বৃদ্ধি পায় না।
-
ইউএসডিএ অনুসারে, ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ২২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে বিরাট ভূমিকা রাখে। এর ফলে পেরিফেরাল টিস্যু, কার্ডিয়াক টিস্যু, কঙ্কালের টিস্যু ও অ্যাডিপোজ টিস্যুতে সহজেই ইনসুলিন প্রবেশ করতে পারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
-
পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
-
এটি ক্যালোরিতে কম এবং ফাইবারে বেশি, ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে।