ভেষজ রানী তুলসী
আয়ুর্বেদিক ভেষজের মধ্যে অন্যতম তুলসী। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে এ গাছের জুড়ি নেই। আধুনিক চিকিৎসাতেও তুলসী গাছের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ পাতার পেস্ট শরীরের নানা মৌসুমি রোগ যেমন প্রতিহত করতে পারে, তেমনি পারে সর্দি-কাশি-কফ থেকে মুক্তি দিতে। ছবি: সামাজিক মাধ্যম থেকে
-
তুলসীতে ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল এবং অপরিহার্য তেলের মতো যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করতে সহায়তা করে, যার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায় এবং কোষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
-
তুলসীর ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
-
তুলসীর কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে পারে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ ও জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে তুলসী।
-
তুলসীর পুষ্টি উপাদান কাশি, সর্দি এবং হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। তুলসী শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি দেয়ার পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি থেকেও মুক্তি দেয়।
-
তুলসীতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সামগ্রিক মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে।
-
তুলসীর পানি দিয়ে গার্গল করা মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নতি করার পাশাপাশি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমাতে পারে।