প্রাকৃতিক চার অ্যান্টিবায়োটিক
দেখতে দেখতে চলে এসেছে শীত। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে কমবেশি সবাই এখন ঠাণ্ডা-কাশিতে ভুগছেন। আর এসব রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেই তারা প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেন। গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের বিকল্প নেই, তবে আপনি ছোটখাটো অসুখের ক্ষেত্রে গ্রহণ করতে পারেন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। যা পেয়ে যাবেন আপনার রান্নাঘরেই। তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই।
-
আদা সেরা এক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি মসলা। এতে জিঞ্জেরল, টেরপেনয়েডস, শোগাওল, জেরুমবোন ও জিঞ্জেরোনের পাশাপাশি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড আছে।
-
আদা আপনাকে কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়ার অনেক প্রজাতির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করবে। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বা এর রস পানে আপনি সর্বোচ্চ পুষ্টি পাবেন। এছাড়া আপনার সালাদ কিংবা স্যুপের ওপর ছড়িয়েও খেতে পারেন। পাশাপাশি আদা চা পান করতে পারেন।
-
পেঁয়াজ সিস্টাইন সালফক্সাইড নামক থেরাপিউটিক সালফার যৌগগুলোর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যাতে অ্যান্টি বায়োটিক প্রভাব আছে এমন ফ্ল্যাভোনয়েড মিলবে। আপনি পেঁয়াজ কাঁচাও খেতে পারেন। এছাড়া এটি রান্নায় ব্যবহার করে পুষ্টি মিলবে।
-
রসুনে আছে অ্যালিসিন, যা কার্যকরভাবে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে এটি পরিমিতভাবে রাখুন। বিশেষ করে রক্তপাতজনিত ব্যাধিতে আক্রান্তদের উচিত রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
-
রসুন সাধারণ ও বিরল সংক্রমণের ক্ষেত্রে দায়ী প্যাথোজেনকে মেরে ফেলতে পারে। এতে শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। রসুন কাঁচা খাওয়া ভালো।
-
মধু প্যাথোজেনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভালো। মধুতে অ্যান্টি বায়োটিক, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে ও এমনকি এমআরএসএ-এর চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়। তবে এটি শিশুদের দেওয়া উচিত নয়।
-
প্রতিদিন শুধু দুই টেবিল চামচ মধু খান। তবে গরম পানিতে কখনো মধু মিশিয়ে পান করবেন না। কারণ এতে মধুর থেরাপিউটিক মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মধুর পুষ্টিগুণ পেতে অবশ্যই প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করে খাওয়া উচিত।