শিশুরা সহজে ঘুমাতে না চাইলে যা করবেন
অনেক সময় শিশুরা সহজে ঘুমাতে চায় না। এ নিয়ে বাবা-মায়েরা ভীষণ সমস্যায় পড়েন। এবার জেনে নিন শিশুরা সহজে ঘুমাতে না চাইলে যা করবেন।
-
বেশি কান্না করা শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সেভাবে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে সম্প্রতি জাপান ও ইটালির কিছু গবেষক বলছেন, প্রথমে কান্না করা সদ্যোজাতকে শিশু কোলে নিয়ে ঘড়ি ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটতে হবে। তারপর পাঁচ থেকে আট মিনিট কোলে নিয়ে বসে থাকতে হবে। তাতেই ঘুমিয়ে পড়বে সে। ছবি: সংগৃহীত
-
শিশুদের ঘুম ঠিক মতো না হওয়া মানেই কান্নাকাটি করা। আর সদ্যোজাত সন্তান কেঁদে উঠলে বাবা-মায়ের পক্ষেও স্থির থাকা কঠিন। সন্তানকে ঘুম পাড়াতে কখনো মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে হয়, কখনো আবার কোলে নিয়ে ঘুরতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু সঠিক কায়দা জানা থাকলে নাকি দশ মিনিটের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বে শিশু। এমনটাই দাবি করলেন ইটালি ও জাপানের কিছু গবেষক। ছবি: সংগৃহীত
-
জাপানের রাইকেন সেন্টার ফর ব্রেন সায়েন্স ও ইটালির ট্রেনটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, প্রথমে কান্না করা সদ্যোজাত শিশুকে কোলে নিয়ে ঘড়ি ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটতে হবে। তারপর পাঁচ থেকে আট মিনিট কোলে নিয়ে বসে থাকতে হবে। গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতেই সবচেয়ে দ্রুত কমে শিশুর কান্না। ঘুমিয়ে পড়ে খুদে। ছবি: সংগৃহীত
-
গবেষকরা এই গবেষণাতে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এক ধরনের ‘ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাফ’ বা ‘ইসিজি’ যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। সেই যন্ত্রের সহায়তায় কান্না ও ঘুমের সময় শিশুদের হৃদ্স্পন্দনের হার পরিমাপ করেন তারা। পাশাপাশি, শিশুদের আচরণ খতিয়ে দেখা হয় ক্যামেরার মাধ্যমেও। ছবি: সংগৃহীত
-
চাঞ্চল্যকর এই গবেষণাতে ৩২ বার ধরে ২১টি শিশুর আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণার ফলাফল দেখে বিজ্ঞানীদের দাবি, এতোদিন ভাবা হত দোলনাতে শুইয়ে রেখে অল্প দোল দিলেই ঘুমিয়ে পড়ে শিশু। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু এই হাঁটা ও বসার কায়দাটি তার চেয়েও বেশি কার্যকরী। এই বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, এই পদ্ধতি শিশুদের ঘুম পাড়ানো ও শান্ত করায় অনেক দ্রুত কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত