পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভালো রাখার উপায়

অনেক দেশেই পেঁয়াজকে জাদু সবজি বলা হয়। খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যগুণও যোগ করে। কিন্তু সমস্যা হলো, পেঁয়াজ খারাপ হয়েছে কি না সেটা বোঝা প্রায় দুঃসাধ্য। সাধারণত রান্নাঘরে বা ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখা হয়। দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে অজান্তেই খারাপ হতে শুরু করে। কিন্তু পেঁয়াজ পচে গিয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা কিছুটা কঠিন। ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজ তাজা কি না বোঝা যাবে কী করে: পেঁয়াজের বেশ কয়েকটা স্তর রয়েছে। তাই এটা তাজা রয়েছে কি না বোঝা একটু শক্ত। তবে কেনার সময়েই সতর্ক হতে হবে। দেখে নিতে হবে পেঁয়াজের গায়ে যেন কালো দাগ না থাকে। এটাই পচনের প্রাথমিক লক্ষণ। এরপর দেখতে হয় পেঁয়াজের গন্ধ কেমন! যদি গন্ধ খুব তীব্র হয়, রঙ ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং অঙ্কুর বের হয় তাহলে বুঝতে হবে পেঁয়াজ পচে গিয়েছে। পেঁয়াজ খারাপ হয়ে গেলে খাদ্যগুণ কমে যায়। ফলে রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদ তো নষ্ট হয়ই, শরীর খারাপও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভাল রাখার কৌশল: মূলত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ু চলাচলের তারতাম্য হলে পেঁয়াজে পচন ধরে। এজন্যই ঠান্ডা জায়গায় পেঁয়াজ রাখতে হবে। অনেকেই ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বায়ুরোধী পাত্র বা ব্যাগে সিল করে রাখা যায়। এতে পেঁয়াজ ইথিলিন নিঃসরণ করতে পারে না। ফলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এছাড়া দীর্ঘদিন পেঁয়াজকে ভালো রাখতে চাইলে ঠান্ডা এবং শুকনো জায়গায় রাখতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যাতে সেই জায়গায় বেশি আর্দ্রতা না থাকে। ছবি: সংগৃহীত

পেঁয়াজের খাদ্যগুণ: পেঁয়াজের খাদ্যগুণ জানলে অবাক হতে হয়। এটা সালফার, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন বি-৬ এবং পটাসিয়ামে ভরপুর। কাঁচা পেঁয়াজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এটা ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম মুখের স্বাস্থ্যর জন্য ভালো। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমশক্তি বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত