সহজে দূর করুন ঘাড়ের কালো দাগ
অনেকের ঘাড়ে কালো দাগ বা ছোপ দেখা যায়। এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। মুখের সৌন্দর্য ভালো হলেও এই ছোপের কারণে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এবার জেনে নিন ঘাড়ের এই কালো ছোপ দূর করবেন যেভাবে।
-
প্রায়শই দেখা যায় অনেকের ঘাড়ের রঙ মুখের থেকে আলাদা। তাদের মুখ অনেক উজ্জ্বল হলেও নোংরা ঘাড়ের চেহারার কারণে চোখ চলে যায় সেদিকেই। গাঢ় ঘাড়ের কারণে অনেক সময় ডিপ নেকের পছন্দের পোশাক পরতে পারেন না এমন অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত
-
ঘাড় কালো হওয়ার কারণ, ঘাড়ের এই কালো দাগ হাইপার পিগমেন্টেশনের কারণে ঘটে। মেলানিন নামক একটি হরমোন ত্বকের রঙের গাঢ়ত্বের জন্য দায়ী। বেশি পরিমাণে মেলানিনের কারণে ত্বকের রং কালো হয়। তাছাড়া সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ঘাড়ও কালো হয়ে যায়, যার কারণে নোংরা দেখায়। এছাড়া শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় ত্বকের রং কালচে হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেক সৌন্দর্য পণ্যে হলুদ ব্যবহার করা হয়, এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া উঠে যায়, যার কারণে ঘাড় পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
কীভাবে তৈরি করবেন? কিছুটা দই বা দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি ঘন দ্রবণ তৈরি করুন, দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পুরো ঘাড়ে ভালো করে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ঠান্ডা পানি দিযে ঘাড় ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই পেস্টটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যে ঘাড় মুখের মতো হয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। লেবুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে ত্বকের প্যাক তৈরি করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
অ্যালোভেরা পানির সঙ্গে মধু, গোলাপ জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হলুদ মিশিয়ে পেস্টও তৈরি করতে পারেন। এবার এই দ্রবণটি ঘাড়ে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঘাড় ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার এই দ্রবণটি লাগালে ঘাড় খুব পরিষ্কার হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ত্বকে টমেটো লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে উপস্থিত খনিজ উপাদান ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং উজ্জ্বল করে তোলে। ছবি: সংগৃহীত
-
টমেটোকে ওট-ময়দা এবং দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘাড়ের জন্য ক্লিনজার তৈরি করা হয়। এর জন্য টমেটোর রসে দুই-তিন চামচ ওট ময়দা মিশিয়ে তাতে সামান্য দুধ মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্টটি ঘাড়ে লাগান, শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টমেটো ওটমিলের পেস্ট সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত