গরুর মাংস দিয়ে কাঁচা কাঁঠালের তরকারি
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এর পুষ্টিগুণ অনেক। কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠাল রসালো ও মিষ্টিস্বাদ যুক্ত হয়ে থাকে। কাঁচা কাঁঠাল সাধারণত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁচা কাঁঠালের সেদ্ধসহ নানা রকম তরকারি রান্না করা যায়। তবে প্রচলিত একটি খাবার হলো গরুর মাংস দিয়ে কাঁচা কাঁঠালের তরকারি। আমাদের দেশের অনেক অঞ্চলে দেশে এ খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। আজ কাঁচা কাঁঠালের রন্ধন প্রণালী সম্পর্কে জেনে নিন।
-
কাঁঠালের দরকারি রান্নার জন্য যেসব উপকরণ লাগবে তার মধ্যে রয়েছে, গরুর মাংস, মাঝারি সাইজের কাঁচা কাঁঠাল, এক কাপ পিঁয়াজ কুচি, ২ চামচ আদা ও রসুন বাটা, পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ, গরম মসল, ১ চামচ হলুদের গুঁড়া, ২ চামচ মরিচের গুঁড়া ও আধা চা-চামচ জিরা গুঁড়া। লেখা ও ছবি: সাজেদুর আবেদীন শান্ত
-
এ ছাড়াও আধা চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া, আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়া, স্বাদ মতো লবণ এবং পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। লেখা ও ছবি: সাজেদুর আবেদীন শান্ত
-
প্রথমে কাঁঠালের কোয়াগুলো ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে। কাঁঠালের বিচি কোয়া থেকে আলাদা করে খোসা ছাড়াতে হবে। বিচি গুলোও ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তবে চাইলে কাঁঠালের বিচির পরিমাণ আপনারা পছন্দমতো দিতে পারেন। এরপর তা ভালোভাবে ধুয়ে গরম পানিতে অল্প আঁচে ৩থেকে ৪ মিনিট ভাব দিয়ে নিতে হবে। লেখা ও ছবি: সাজেদুর আবেদীন শান্ত
-
এরপর গরুর মাংস ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। একটা কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা আঁচে ভাজতে হবে। এরপর গরম মসলা, তেজপাতা, আদা-রসুন বাটা, জিরা বাটা, স্বাদমতো লবন, পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে। লেখা ও ছবি: সাজেদুর আবেদীন শান্ত
-
এরপর ছোট ছোট টুকরা করা আগে থেকেই ধুয়ে রাখা মাংস গুলো কড়াইয়ে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এভাবে মাংসগুলো ভালোভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে। লেখা ও ছবি: সাজেদুর আবেদীন শান্ত
-
মাংসগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হলে ভাব দিয়ে কেটে রাখা কাঁঠালের টুকরোগুলো দিয়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। এরপর ঢাকনা খুলে নেড়ে দিতে হবে। এরপর ৫ থেকে ৭ মিনিট এভাবে অল্প আঁচে রাখতে হবে। খেয়াল রাখলে হবে কড়াইয়ের নিচে যেনো লেগে না যায়। এরপর হয়ে আসলে জিরা ভেজে গুঁড়া করে দিতে হবে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে। লেখা ও ছবি: সাজেদুর আবেদীন শান্ত