যেসব নিয়ম মানলে পরকীয়া থেকে দূরে থাকবেন
পরকীয়া সম্পর্ক আমাদের সমাজে সামাজিক ব্যধি হিসিবে চিহ্নিত। এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে অনেকেরই সংসার ভেঙেছে। কারো কারো সংসারে অশান্তি লেগেই আছে। পরকীয়ায় একবার জড়িয়ে পড়লে তা থেকে বের হয়ে আসা বেশ কষ্টকর। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে পরকীয়ার আকর্ষণ থেকে দূরে রাখবে।
-
ভালোবাসা যেন এক তরঙ্গ। এক ঢেউ মেলাতে না মেলাতে অনেক সময় নতুন ঢেউ উথাল পাতাল করে হৃদয়। অজান্তেই কখন দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেন তৃতীয় ব্যক্তি। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ধাপে ধাপে এগোয়। ছবি: সংগৃহীত
-
এমনকি কখন আর কীভাবে নতুন সেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়াও মুশকিল হয়ে পরে। শারীরিক ও মানসিকভাবে জড়িয়ে পড়লেও এই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়া একটু কঠিন হয়ে পরে। ছবি: সংগৃহীত
-
সেক্ষেত্রে একটা সময় মনে হতে পারে দাম্পত্য জীবনে ফিরে আসাই একমাত্র পথ। কারণ বিবাহ বহির্ভূত এই সম্পর্কগুলি শারীরিক ও মানসিকভাবে আনন্দ ও তৃপ্তি দিলেও জীবনে সমস্যাও বাড়িয়ে দেয় এই সম্পর্ক। ছবি: সংগৃহীত
-
সেই পরিস্থিতিতে সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেলে ক্ষণিকের ভুল সিদ্ধান্ত সারাজীবন কাঁধে বয়ে বেড়াতে হয়। এমন ক্ষেত্রে অনেকেই হয়তো এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবনে ফিরে যেতে চাইছেন। কিন্তু পারছেন না। ছবি: সংগৃহীত
-
কেন এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আগে সেই কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, দাম্পত্য জীবনে বিশেষ কোনো সমস্যা এবং বিবাদের কারণেই অন্য সম্পর্কে পা রাখেন কোনো নারী বা পুরুষ। সেক্ষেত্রে দুজনে আলোচনার মাধ্যমে সেই বিশেষ সমস্যাটি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
এই মুহূর্তে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। জীবনসঙ্গীকে কি পরকীয়ার বিষয়টি জানাবেন? অনেকেই মনে করেন, এক্ষেত্রে বিবাদ বাড়বে বই কমবে না। এবং সে বিবাদের জল অনেক দূর গড়াতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
তবে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো থাকলে স্থান-কাল-পাত্র বুঝে সঙ্গীকে গোটা বিষয়টি খুলে বলে দিতেই পারেন। কারণ অন্য কারও থেকে ব্যাপারটা জানলে তা আরও ক্ষতি করতে পারে পারস্পরিক সম্পর্ককে। সেইজন্য সময় সুযোগ বুঝে বিষয়টি শেয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ছবি: সংগৃহীত
-
এখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একবার পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে সেই ব্যক্তি বা মহিলার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে অবশ্যই সম্পর্কে ইতি টানার কথা তাকে সোজাসুজি জানিয়ে দিন। আবেগপ্রবণ হয়ে কোনোভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করাই ভালো। বরং সংসার ও কাজে মন দিন। কাজটি কঠিন হলেও ফলপ্রসু হবে নিশ্চিত। ছবি: সংগৃহীত
-
স্ত্রী অথবা স্বামীর মধ্যে যিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। অন্য সম্পর্কে জড়ানোর সমস্ত দায় তার উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হয়। এমনটা হলে কিন্তু পরকীয়ায় ইতি টানার উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না। পার্টনার বা সঙ্গী কেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, সেই বিষয়টি নিয়েও দু-পক্ষের আলোচনা প্রয়োজন। সমাধান খোঁজার কথাও ভাবতে হবে দুজনকেই। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেক সময় দেখা যায়, পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পরও সঙ্গীর প্রতি সেই বিশ্বাসটা আর ফেরে না। তাই উল্টোদিকের মানুষটার মনে সারাক্ষণ সন্দেহ থেকে যায়। তাই নতুন করে তার বিশ্বাস অর্জন করা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
-
স্ত্রী বা স্বামীকে নানা ধরনের সারপ্রাইজ দিয়ে, ভালবাসায় ভরিয়ে সেই ভাঙা মনকে জোড়া দেওয়ার কাজটিও করতে হবে অত্যন্ত নিপুণ হাতে। অভিনয় নয়, সত্যি আবেগ যেন থাকে সেইসব কাজে। নাহলে কিন্তু সম্পর্কের ফাটল উল্টে কোনো তৃতীয় ব্যক্তি ছাড়াই চওড়া হতে পারে। যা জোড়া লাগা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তাই সতর্ক হন। ছবি: সংগৃহীত