চাকরির ইন্টারভিউতে ভুলেও যা বলবেন না
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময়ে আমরা প্রত্যেকেই অল্প-বিস্তর নার্ভাস হয়ে থাকি। ইন্টারভিউ চলাকালীন কী কী বলা উচিত, সেই নিয়ে আমরা প্রত্যেকেই খুব চুলচেরা বিচার করে থাকি। কিন্তু ইন্টারভিউয়ে কী কী একদমই বলা উচিত নয়, সেটা জানাও খুব দরকার।
-
যদি আপনি একটি চাকরি ছেড়ে অন্য একটি চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যান, তবে কখনওই নতুন চাকরির জায়গায় বলবেন না, আপনার আগের বসের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা ভালো ছিল না।
-
চাকরিতে ঢোকার আগেই মুখ ফসকেও যেন না বের হয়, পরের মাসের জন্য আপনি আগে থেকেই ভ্যাকেশনের প্লান করে রেখেছেন।
-
ইন্টারভিউ চলাকালীন যদি কোনও ফোন আসে, রিসিভ করবেন না। রিসিভ করা যদি জরুরিও হয়, ‘আমি কি ফোনটা ধরতে পারি?’ এই ধরনের প্রশ্ন কখনওই করবেন না। এতে যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তিনি খুব অসন্তুষ্ট হন।
-
ধরা যাক, কোনো প্রশ্নের উত্তর আপনার রেজিউমে-তে স্পষ্ট ভাবে লেখা রয়েছে, তা সত্ত্বেও ইন্টারভিউয়ার প্রশ্নটি করায়, বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। মনে রাখবেন, ইন্টারভিউয়ার আপনার মুখ থেকে উত্তরটি জানতে চেয়েছেন বলেই প্রশ্নটি করেছেন।
-
কী কারণে আগের চাকরি ছাড়লেন- এর উত্তরে বুদ্ধি করে জবাব দিন। কিন্তু কখনওই বলবেন না, আগের চাকরিতে আপনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। এতে প্রশ্ন উঠতে পারে- বর্তমান চাকরিতে আপনি অতিষ্ঠ হবেন না, তার যথার্থতা কতটা।
-
যে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছেন, তার ‘লিভ পলিসি’ বা ছুটির তালিকা জানার জন্য আগেই উতলা হবেন না। এতে ইন্টারভিউয়ারের মনে হতে পারে, কাজ করার থেকে আপনার কাছে ছুটি কাটানোটাই মুখ্য।
-
কেন চাকরি করতে চান, তার উত্তরে- ‘আমার চাকরিটা খুবই দরকার।’ এই ধরনের শিশুসুলভ উত্তর দেবেন না। মনে রাখবেন, যারা যারা ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন, তাদের প্রত্যেকেরই চাকরিটা খুব প্রয়োজনীয়।