বিশ্বের অদ্ভুত যত বিয়ের রীতি
দাম্পত্য বা যৌনজীবনের সামাজিক স্বীকৃতি হল বিয়ে। তবে প্রাচীনকালে বিয়ের প্রচলন ছিল না। ধারণা করা হয়, মানব সভ্যতায় কৃষি কাজের সূচনা থেকেই বিয়ের উৎপত্তি। আর বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি হলেও সমাজের ধরণ ভেদে এর রীতি অনেক ভিন্ন। একেক সমাজে একেক রকম আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ের রীতি সম্পন্ন হয়।
-
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। এই দেশটির মাঙ্গলিক সমাজে সব মেয়েদের প্রথমে কোনো একটি গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর গাছটি কেটে ফেলা হয়। মনে করা হয় যেসব মেয়েরা মাঙ্গলিক হয়। বিয়ের পর পরই তাদের স্বামীর মৃত্যুর হয়। এই অভিশাপ থেকে বাঁচতে প্রথমে তাদের গাছের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়। বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও মাঙ্গলিক ছিলেন। তার প্রথম বিয়েও গাছের সঙ্গেই হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
দ্বীপবেষ্টিত দেশ ইন্দোনেশিয়ায় অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। এদেশের এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর নবদম্পতিকে তিনদিন ও তিনরাত পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখা হয়। এই সময়টা নবদম্পতি কোনোভাবেই টয়লেট ব্যবহার করতে পারবে না। এমন নির্দয় কারাদণ্ডের কারণ, এতে দম্পতির ভবিষ্যত সন্তান সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। এমনটাই বিশ্বাস করেন এই সমাজের লোকেরা। ছবি: সংগৃহীত
-
সমাজতান্ত্রিক দেশ চীনে বিয়ের অদ্ভুত কিছু রীতি আছে। দেশটির ইউগুরস ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিয়েতে এক ভয়ানক নিয়ম পালন করতে হয়। বরকে তিনটি ভোঁতা তীর ছুড়তে হয় কনেকে লক্ষ্য করে। এই তীর লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হলে বেশ ব্যথা পেতে হয় কনেকে। এরপর বর ওই তীরগুলো নিয়ে ভেঙে ফেলে। যাতে এগুলো আর কখনও তার স্ত্রীকে আঘাত করতে না পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
গ্রিসের প্রাচীন স্পার্টা নগরীতে হবু বউয়েরা মাথার চুল কামিয়ে ছেলেদের মতন পোশাক-আশাক পরে তৈরি থাকতো। এর পরের কাজটুকু ছিল মূলত হবু বরের অগ্নি পরীক্ষা। বিয়ের ইচ্ছে থাকলে সবার চক্ষু ফাঁকি দিয়ে এই ছেলে সেজে থাকা তার হবু স্ত্রীকে চুরি করে নিয়ে পালাতে হতো তাকে। তবেই কেবল সে নিজেকে বিয়ের উপযুক্ত বলে প্রমাণ করতে পারতো। ছবি: সংগৃহীত
-
দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন ও মঙ্গোলিয়ার এক গোষ্ঠীর বিয়ের তারিখ ঠিক করতে হলে হবু বর-কনেকে মুরগির ছানা মারতে হয়। এরপর ওই মুরগির ছানার কলিজার রং পরীক্ষা করা হয়। কলিজার রং টাটকা হলে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। নইলে, টাটকা কলিজা না পাওয়া পর্যন্ত মুরগির বাচ্চা মারতে হবে তাদের। ছবি: সংগৃহীত