শাশুড়ির মন জয় করার সহজ উপায়
বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন রকমের নেতিবাচক গল্প আমরা জানি। তবে এটা সবার জন্য সত্য নয়। বিয়ের পর নতুন ঘরে গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে জীবন শুরু করতে পারলে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে না কখোনেই। তাই জেনে নিন শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় সহজ উপায়।
-
মনে রাখবেন প্ত্রুবধূ হিসেবে আপনি যেমন নতুন ভূমিকায়, তেমনই নতুন ভূমিকায় পা দিয়েছেন শাশুড়িও। প্রথমেই মনে কোনো রকম তিক্ততা রাখবেন না। সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সম্পর্ক শুরু করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
মায়ের জায়গায় কাউকে বসানো যায় না ঠিকই। কিন্তু চেষ্টা করুন অন্তত আপাতভাবে মায়ের সঙ্গে শাশুড়ির বৈষম্য না করতে। জন্মদিন উপলক্ষে উপহার দিন দুজনকেই। শাশুড়ি যদি দূরে থাকেন, তাকে বাড়িতে এসে থাকতে বলুন অন্তত দিন কয়েকের জন্য। স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে আপনিও যান শাশুড়ির কাছে দিন কাটাতে। ছবি: সংগৃহীত
-
কিছু ক্ষেত্রে শাশুড়ি তার পুত্রবধূকে প্রতিযোগী ভাবেন ঠিকই। তাই নিজেকে কিছুটা এগিয়ে রাখার জন্য শাশুড়ির আচরণে কিছু পরিবর্তন তো লক্ষ করতেই পারেন। সেটা বুঝতে পেরেও নিজেকে সংযত রাখুন। আপনিও নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী ভেবে বসবেন না। নিজের আচরণ সংযত রাখাই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
শাশুড়ি গৃহবধূ। আপনি কর্মরতা-হতেই পারে এই পরিস্থিতি। তাই বলে তার প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করবেন না। শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। তার কাছেও অতীত জীবনের সংগ্রাম জানতে চান। তিনি কীভাবে এত দিন সংসারের হাল ধরে থেকেছেন, সন্তানদের বড় করে তুলেছেন-জানতে চান সে সব দিনের কথা। তার সংগ্রামকেও সম্মান করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
নতুন পরিবারে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। নিজেকে সেই সময় দিন। শ্বশুরবাড়িতে আপ্যায়িত না হলেও আহত হবেন না। তাদেরকেও সময় দিন। আপনাকে চেনার ও বোঝার জন্য। ছবি: সংগৃহীত
-
শাশুড়ি যখন কথা বলবেন, সেদিকে মনোযোগ দিন। তার কথা অর্থহীন লাগলেও অবহেলা করবেন না। ‘ইগনোর’ করা কিন্তু ঝগড়ার থেকেও তিক্ত। ঘরের কাজে শাশুড়ি সাহায্য করতে চাইলে ফিরিয়ে দেবেন না। আপনিও তাকে সাহায্য করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
শাশুড়ি যখন কথা বলবেন, সেদিকে মনোযোগ দিন। তার কথা অর্থহীন লাগলেও অবহেলা করবেন না। ‘ইগনোর’ করা কিন্তু ঝগড়ার থেকেও তিক্ত। ঘরের কাজে শাশুড়ি সাহায্য করতে চাইলে ফিরিয়ে দেবেন না। আপনিও তাকে সাহায্য করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
শাশুড়ি দূরে থাকলে ফোনে নিয়মিত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। খোঁজ রাখুন তার শরীর ও স্বাস্থ্যের। বাড়ির সব দরকারি কথা তাকে জানান। এরকম যেন না হয়, বাড়ির কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আপনার শাশুড়ির অজ্ঞাতই থেকে গেল। ছবি: সংগৃহীত
-
সাংসারিক বিষয়ে আপনার শাশুড়ি অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তাই তার পরামর্শ নিন। আপনার পছন্দ না হলেও তার কথা মন দিয়ে শুনুন। ছবি: সংগৃহীত
-
সন্তানকে বড় করে তোলার বিষয়ে শাশুড়ির পরামর্শ নিন। নাতি নাতনির সঙ্গে দাদির সখ্যে বাধা দেবেন না। শাশুড়িকে ‘সেকেলে’ চিহ্নিত করবে বসবেন না। ছবি: সংগৃহীত