সুইমিং পুলে রঙের খেলা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত সুইমিং পুল সেজেছে রঙিন সাজে। নানান চিত্র ফুটে উঠেছে সুইমিংপুলের দেয়ালে। দৃষ্টিনন্দন এসব চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। এ শুধু রঙের খেলা নয়। এতে মিশে আছে চিত্রশিল্পীদের ঘাম আর ক্লান্তি।
-
চিত্রকর্মগুলো সেই ক্লান্তি মুছে দিয়ে তাদের মনে এনে দিয়েছে ফুরফুরে ভাব। যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই। একসময় ঘোরাঘুরির জন্য এই এলাকা এড়িয়ে চললেও শিক্ষার্থীদের জন্য এখন সেই এলাকা হয়ে উঠেছে প্রশান্তির। ছবি: গোলাম মাওলা মুরাদ
-
একটি সুন্দর উদ্যোগ কীভাবে একটি এলাকাকে বদলে ফেলতে পারে, ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত সুইমিং পুল তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের অদূরে জঙ্গলের মাঝে পরিত্যক্ত জায়গা ছিল। স্যাঁতসেঁতে ওই জায়গা থেকে জন্মাত মশা-মাছি। মাঝেমধ্যে দুর্গন্ধও ছড়াত। যে জায়গায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ছিল, সেখান থেকে এখন রঙিন ছবির আলোকছটা ছড়াচ্ছে। ছবি: গোলাম মাওলা মুরাদ
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলে দলে এমন মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। কেউবা আবার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সেই অনুভূতিগুলোই প্রকাশ করছেন। ছবি: শ্বাশতী সরকার
-
১৯৯৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই একমাত্র পুলটি পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে সুইমিং পুলের তলানিতে জমতে থাকে নোংরা পানি। এছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ার ফলে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয় লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ অবকাঠামোটি। এদিকে সুইমিং পুলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভৌগোলিক কারণেই তা রূপ নেয় পরিত্যক্ত স্থানে। ছবি: শ্বাশতী সরকার
-
পরিত্যক্ত ‘সুইমিং পুল’। ময়লা–আবর্জনা ও মাদকের আখড়া হিসেবে জনপ্রিয় ছিল যে পুল। নিরিবিলি ও ঘন জঙ্গলের মধ্যে হওয়ার দরুন নানা অনৈতিক কাজের আখড়া হিসেবেই চিনতো সবাই। এতদিন আবর্জনার স্তূপ হিসেবে পরিচিত থাকলেও রাতারাতি এই পুলের পরিবর্তন এনে দিয়েছেন কয়েকজন চিত্রশিল্পী। যার সুবিধা ভোগ করছে এখন পুরো ক্যাম্পাসবাসী। ছবি: গোলাম মাওলা মুরাদ
-
পুরোনো জরাজীর্ণ এই পুলটি দৃষ্টিনন্দন করতে উদ্যোগ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মামুর। তার উদ্যোগে এক দল তরুণ নেমে পড়েন রঙিনায়নে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে জীর্ণ দেয়ালে ফুটেছে রঙিন ছবি। পুলের দুই পাশের দেয়ালে জায়গা পেয়েছে বাহারি সব চিত্রকর্ম। ছবি:আল ইসলাম অপু
-
রং-তুলি কেনা থেকে শুরু করে দেয়ালে রং সবই তারা করেছে। যার দরুণ সুইমিং পুল এলাকার শোভা আরও বর্ধিত হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে, তাই তাদের এই পদক্ষেপ নেওয়া। ছবি: গোলাম মাওলা মুরাদ
-
দীর্ঘদিনের অপরিচ্ছন্ন নোংরা পুলটি এখন আবর্জনামুক্ত। এখন এ পুলের পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন বেশ স্বস্তিতে। পুলের পাশে বিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি: শ্বাশতী সরকার
-
দেওয়ালে যেসব ছবি আঁকা হয়েছে সেসবের ভেতর কিছু ছবি সরাসরি বার্তা বহন করছে। যেমন রণবীর বিখ্যাত টোকাই চরিত্রকে নিয়ে আঁকা একটি দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠছে যে টোকাই একটি কাটা গাছে হেলান দিয়ে আরাম করে শুয়ে আছে, তার চোখে ভিআর সেট, সেখানে লেখা ‘উন্নয়ন’। ছবি: গোলাম মাওলা মুরাদ
-
এর বাইরে গ্রাম বাংলার জীবন, কিংবা আধুনিক নগরে নাগরিক জীবন নিয়েও আঁকা হয়েছে ছবি। ছবি: শ্বাশতী সরকার
-
এছাড়া অসংখ্য আঁকিয়ে তাদের নিজেদের খেয়ালখুশিতে রং ছড়িয়ে নানাভাবে রঙিন করেছে পরিত্যক্ত এই সুইমিংপুলটিকে। ছবি: গোলাম মাওলা মুরাদ
-
দেয়ালচিত্রগুলো দেখে সবাই খুবই উচ্ছ্বসিত। সবাই খুবই প্রশংসা করছে এবং প্রচুর ছবি তুলছে। ছবি: শ্বাশতী সরকার