ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগছেন তারকারাও
বর্তমান সময়ে প্রায়ই শোনা যায় ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’ নামক রোগের কথা। এটি আসলে কী? অনেকেই জানেন না এর উত্তর। মূলত, কারও খাদ্যাভাসজনিত অস্বাভাবিক পরিবর্তন, ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে খাদ্য গ্রহণ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও সেই চিন্তার কারণে আচরণে যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলে ইটিং ডিজঅর্ডার। শুধু সাধারণ মানুষই এই রোগে ভোগেন না, রোগীর তালিকায় রয়েছে তারকাদের নামও। ছবি: তারকাদের ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
২০২০ সালে টেলর সুইফটকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানায় নেটফ্লিক্স। সেই তথ্যচিত্রেই প্রথম জানা যায়, এই গায়িকারও ইটিং ডিজঅর্ডার ছিল। এ বিষয়ে সুইফট বলেন, ‘একসময় আমার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, যা–ই দেওয়া হোক, আমি খেতে পারব না। এই বিষয়টি আমি আবার ইতিবাচকভাবেই দেখে গেছি। তারপর হঠাৎ বুঝতে পারলাম, কোনো খাবারেই আমার আগ্রহ নেই। খাবার দেখলেই একধরনের অস্বস্তি হতে থাকে।’
-
সুইফট আরও বলেন, ‘এখন বুঝতে পারি, আপনি যদি ঠিকমতো না খান, শক্তি পাবেন না। আর শক্তি না পেলে তার প্রভাব আপনার শোতেও পড়বে।’
-
দীর্ঘদিন খেতে না পারার অসুখে ভুগেছেন ব্রিটিশ গায়ক জায়ান মালিক। ২০১৬ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনী জায়ান-এ প্রথম সেই কঠিন সময়ের কথা সবার সামনে আনেন তিনি।
-
এমিলি ইন প্যারিস সিরিজের ‘এমিলি’ লিলি কলিন্সও কিশোরী বয়সে ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগেছেন।
-
টু দ্য বোন সিনেমায় অভিনয় করার পর এক সাক্ষাৎকারে লিলি বলেন, ‘এই সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রটি নিজের জীবনের সঙ্গে খানিকটা মিলে যায়। কারণ, আমি নিজেই টিনএজ বয়সে খাবারের সমস্যায় ভুগেছি।’
-
২০২৩ সালের মার্চে এক সাক্ষাৎকারে গায়ক এড শিরান নিজেই জানান, তার ইটিং ডিজঅর্ডারে ভোগার কথা। বেশ কয়েক বছর এই সমস্যায় ভুগেছেন তিনি।