নায়িকাদের প্রেমে পড়েছেন যে পরিচালকরা

১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হরে রামা হরে কৃষ্ণা’ ছবির পরিচালক ছিলেন দেব আনন্দ। জিনাত আমান এবং মমতাজ নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু জিনাতের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে থাকে দেব আনন্দের। তখন অবশ্য পরিচালক বিবাহিত, দুই সন্তানের বাবা। ছবি: সংগৃহীত

‘রোম্যান্সিং উইথ লাইফ’ আত্মজীবনীতে দেব আনন্দ জিনাতের প্রতি তার দুর্বলতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। কিন্তু অভিনেত্রীর এই বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। তিনি দেব আনন্দকে সহ-অভিনেতা হিসাবেই শ্রদ্ধা করতেন। জিনাত আমান ছাড়াও সুরাইয়া, কল্পনা কার্তিক, মোনা সিংহ প্রমুখ অভিনেত্রীর সঙ্গেও তার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শোনা গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পরিচালক রাম গোপাল বর্মা এক সময় তার প্রতিটি ছবিতে উর্মিলাকে নায়িকা হিসেবে বেছে নিতেন। সিনেমার সেট ছাড়াও বহু জায়গায় তাদের একসঙ্গে দেখা যেত। দুজনের মধ্যে কেউই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কোনো দিন প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু অভিনয় জগতের শীর্ষে থাকা উর্মিলার ক্যারিয়ারে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। পাপারাৎজিদের মতে, রাম গোপালও তার কোনো ছবিতে উর্মিলাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিতেন না। ফলে নায়িকার হাতে কাজও কমে যেতে থাকে। ছবি: সংগৃহীত

শুধু উর্মিলা মাতন্ডকরই নন, অন্তরা মালির সঙ্গেও রাম গোপালের সম্পর্ক ছিল। রাম গোপাল পরিচালিত ‘মস্ত’, ‘রোড’, ‘কোম্পানি’, ‘ডরনা মনা হ্যায়’ ছবিতে অন্তরাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত কোনো ছবিই বক্স অফিসে জায়গা করে নিতে পারেনি। পরে রাম গোপাল বর্মা প্রযোজিত একটি ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ মেলে অন্তরার। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয় না। অন্তরাও নিজেকে সিনেমার জগৎ থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিতে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন বলিউড জগতে পা রাখেন ‘দস্তক’ ছবির মাধ্যমে। মহেশ ভাট সেই ছবির পরিচালক হওয়ার সূত্রে ফিল্মের সেটেই তার সঙ্গে বিক্রম ভাটের পরিচয় হয়। তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথা তখন বলিউডের সবার মুখে মুখে। স্ত্রী অদিতির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বিক্রম অবশ্য তার সঙ্গে সুস্মিতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককেই দায়ী করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিক্রম পরে অবশ্য অন্য এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অমিশা পটেল যখন তার ক্যারিয়ার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছেন, তখনই পরিচালক প্রেম নিবেদন করেছিলেন অমিশাকে। পাঁচ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক ছিল তাদের। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই দুজনের সম্পর্ক আর এগোয়নি। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী হুমা কুরেশিকে বলিউডের পর্দায় প্রথম দেখা যায় অনুরাগ কাশ্যপের ছবিতে। এমনকি তাদের দুজনকে একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। বিভিন্নভাবে শোনা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলাকালীনই হুমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন পরিচালক। তবে এক সাক্ষাৎকারে হুমা জানিয়েছেন, অনুরাগ শুধু মাত্রই তার ভালো বন্ধু। ছবি: সংগৃহীত

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও সাজিদ খানের সম্পর্কও ছিল অনেক দিনের। অভিনেত্রী ও পরিচালকের সম্পর্কের কথা প্রচারে আসে তাদের বিচ্ছেদের পর। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, জ্যাকুলিনের প্রতি সাজিদের অত্যধিক অধিকার বোধ এবং জ্যাকুলিনকে হারিয়ে ফেলার ভয় তাদের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি করেছিল। ছবি: সংগৃহীত