অভিনেত্রী মঞ্জুষার রহস্যজনক মৃত্যু
আরও এক অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মঞ্জুষা নিয়োগী। তার মৃত্যু নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
-
টেলিভিশন অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর উচ্চাকাঙ্ক্ষাই কি মৃত্যুর কারণ? ভারতের টেলিভিশন জগতে ১৫ দিনের মধ্যে তৃতীয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠছে। গত ১৫ মে অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুর পর, বুধবার রাতে মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল তার নাগের বাজারের ফ্ল্যাট থেকে। ছবি: সংগৃহীত
-
মঞ্জুষা নিয়মিত থিয়েটারে অভিনয় করতেন। মডেলিং করতেন। টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকেও অভিনয় করতেন। তবে টালিউডে দীর্ঘদিন কাজ করলেও তথাকথিত ‘সাফল্য’ বলতে সাধারণভাবে যা বোঝায়, তা তিনি পাননি। ছবি: সংগৃহীত
-
মাস ছয়েক আগেই এক পেশাদার চিত্রগ্রাহককে বিয়ে করেছিলেন। ফেসবুকে তার ‘সিঙ্গল স্ট্যাটাস’ বদলে ‘বিবাহিত’ করেছিলেন তিনি। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, স্বামী খুবই ভালোবাসতেন মঞ্জুষাকে। তবে সম্ভবত তার সঙ্গে ইদানীং বনিবনা হচ্ছিল না মঞ্জুষার। ছবি: সংগৃহীত
-
মায়ের কথায় স্পষ্ট, মঞ্জুষার স্বামী তাকে কাজের জায়গায় পৌঁছে দিতে চাইলেও বিষয়টি পছন্দ করতেন না মঞ্জুষা। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে তার। জোর করলে রেগে গিয়ে মাকে বলেছেন, ‘তুমি তোমার জামাইকে নিয়েই থাকো।’ ছবি: সংগৃহীত
-
ছয় মাসের সম্পর্ক। এর মধ্যেই সম্পর্কের টানাপোড়েন। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, এই প্রথম নয়। তার আগেও সম্পর্কের টানাপোড়েনের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। বিয়ের আগে একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। সেই সম্পর্কেও বেশি দিন থাকতে পারেননি মঞ্জুষা। ছবি: সংগৃহীত
-
মঞ্জুষার প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়ি ছিল সল্টলেকে। তবে সেই প্রেমিক তার উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ করেছেন মঞ্জুষার মা। বলেছেন, ‘ওকে প্রায়শই মারধর করত।’ মঞ্জুষার পরিবার জানিয়েছে, তখনও একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এই প্রবণতাও তার নতুন নয়। ছবি: সংগৃহীত
-
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই সম্পর্কটি থেকে বেরিয়ে আসেন মঞ্জুষা। তারপরই প্রেমে পড়েন বর্তমান স্বামীর। এবং বিয়ে। তবে স্বামীর সঙ্গে তার বয়সের ফারাক ছিল অনেকটাই। ছবি: সংগৃহীত
-
ক্যারিয়ার নিয়ে বরাবরই উচ্চাকাঙ্ক্ষী মঞ্জুষা। মাঝে মধ্যেই এ নিয়ে বাড়িতে হতাশার কথাও জানাতেন। তবে একই সঙ্গে ক্রমাগত চেষ্টাও চলত উপরে ওঠার। টলি পাড়ায় যোগাযোগ বাড়াতে জনসংযোগ করতেন। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, প্রায়শই বড় বড় হোটেলে খেতে যেতেন অভিনেত্রী। ছবি: সংগৃহীত
-
পরিবারসূত্রে খবর, কখনও বাড়িতে বন্ধুদের ডেকে আনতেন না মঞ্জুষা। দেখা সাক্ষাৎ যা করার বাইরেই করতেন। তবে মৃত মডেল অভিনেত্রী বিদিশার সঙ্গে খুবই বন্ধুত্ব ছিল তার। পল্লবীর সঙ্গেও পরিচয় ছিল। বিদিশার সঙ্গে বহু কাজ করেছেন অভিনেত্রী। ছবি: সংগৃহীত
-
বিদিশার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। পল্লবীর কথাও তাকে বার বার বলতে শুনেছে পরিবার। দুজনেরই মৃত্যুতে মেয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন মা। ছবি: সংগৃহীত
-
আড়াই মাস আগেও অশান্তির পর একবার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বলেছেন মঞ্জুষার মা। তিনি বলেন, ‘সে সময় ওকে জামাই বাঁচিয়েছিল।’ ছবি: সংগৃহীত
-
পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী ছিলেন মঞ্জুষা। তবে ছোট থেকেই অভিনয় জগতের প্রতি আকর্ষণ ছিল। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পরই মডেলিং শুরু করেছিলেন মঞ্জুষা। সুযোগও আসছিল একের পর এক। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু ইদানীং কাজ কমে আসছিল তার। তাই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। বাড়িতে বেশ কয়েক বার জানিয়েওছিলেন চিন্তার কথা। ছবি: সংগৃহীত
-
তার বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। এক ভাই আছে মঞ্জুষার। চার জনের সচ্ছল পরিবার। মঞ্জুষার মা তাকে বুঝিয়েছিলেন, কাজ নিয়ে অযথা চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ছবি: সংগৃহীত
-
এমনকি মঞ্জুষার বাবা মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য বড় অংকের অর্থ জমিয়ে রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মা। মঞ্জুষা সে ব্যাপারে জানতেনও। ছবি: সংগৃহীত
-
বৃহস্পতিবারও শুটিংয়ের কাজে বাঘাযতীন গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তারপর কী এমন হলো যে তার মৃত্যু হল? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে পুলিশ। হতাশা, সম্পর্কের টানাপড়েন ছাড়াও নেপথ্যে কি রয়েছে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি? ছবি: সংগৃহীত
-
বাড়ির লোকের অবশ্য দাবি, মঞ্জুষা আত্মহত্যাই করেছেন। ক্যারিয়ারে অল্প সময়ে উঁচুতে ওঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই এমন কাজ করেছেন তিনি। তার মাকে একটি সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গিয়েছে, লোভই কাল হলো মেয়ের। মেয়ের প্রচণ্ড মাথা গরম ছিল। অল্প কথায় মেজাজ খারাপ হত। হঠকারিতার বশেই সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। ছবি: সংগৃহীত