ক্যারিয়ার শুরুর রহস্য জানালেন আমির
অনেক ভক্তই তার প্রিয় তারকার ক্যারিয়ারের শুরু কথা শুনতে চান। জানতে চান তিনি কিভাবে শোবিজে এসেছেন। আর সে তারকা যদি হন বলিউডের তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
-
নায়ক হিসেবে প্রথম ছবিতেই বক্স অফিসে এতটা লাভ খুব কম অভিনেতারাই হয়েছে! প্রায় ৩৪ বছর আগে এক ছিপছিপে তরুণের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিল তরুণীরা। ছবি: সংগৃহীত
-
‘কেয়ামত সে কেয়ামত’ দিয়ে বলিউডে অভিষেকেই তুমুল আলোড়ন তুলেছিলেন আমির খান। তবে ওই সময় নাকি বাসে বা অটোয় করে যাতায়াত করতেন তিনি। এমনকি, একবার নাকি চাচার গাড়ি ধার করতে হয়েছিল আমিরকে। ছবি: সংগৃহীত
-
সোমবার নিজের জন্মদিনে ভক্তদের শুভেচ্ছা, ভালোবাসার জোয়ারে ভাসছেন ৫৭ বছরের আমির। জন্মদিনে তার পুরনো কাহিনিও বলেছেন। তাতে রয়েছে আমিরের গাড়ি ধার করার গল্পও। প্রায় দশ বছর আগে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই পুরনো কথাই ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
-
তবে সে গল্প শুরুর আগে আমিরের ছোটবেলায় ফিরে যাওয়া যাক। নায়ক হিসাবে অভিষেকের অনেক আগেই অবশ্য বলিউডের পর্দায় মুখ দেখিয়েছিলেন আমির। তখন তার বয়স মাত্র ১১।
-
লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশনের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন আমির। বাবা তাহির হুসেন একাধারে প্রযোজক-পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার। আবার সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে, আমিরের চাচা নাসির হুসেন ছিলেন বলিউডের নামজাদা প্রযোজক-পরিচালক তথা চিত্রনাট্যকার। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯৭৩ সালে চাচার পরিচালনায় ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’-এ দেখা গিয়েছিল আমিরকে। ওই ছবিতে রতনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ভাইপোকে রাজি করিয়েছিলেন তিনি। তবে ছেলে সিনেমায় অভিনয় করুক, তা চাননি তাহির। বাবার আপত্তি সত্ত্বেও শেষেমেশ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আমির। কয়েক বছর ছোটখাটো রোলে অভিনয়ের পর চাচার প্রযোজনায় আসেন নায়কের ভূমিকায়। তারপর ওই যে কথায় বলে না— দ্য রেস্ট ইজ হিস্ট্রি! বাকিটা ইতিহাস। ছবি: সংগৃহীত
-
১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমিরের ‘কেয়ামত সে কেয়ামত’। বাজেট ছিল ১ কোটি রুপি। তবে এ দেশে তা আড়াই কোটি রুপির ব্যবসা করেছিল। বিদেশের বাজারে কামিয়ে নিয়েছিল আরও সাড়ে ৫ কোটি রুপি। বক্স অফিসে মুনাফার পাশাপাশি আমির এবং ওই ছবির নায়িকা আর এক আনকোরা অভিনেত্রী জুহি চাওলা রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলেন। খ্যাতির আলোয় চলে এসেছিলেন ওই ছবির পরিচালক মনসুর খানও। ছবি: সংগৃহীত
-
নায়ক হিসাবে প্রথম ছবির পর বলিউডে তিন দশকেরও বেশি কাটিয়ে ফেলেছেন আমির। এই তিন দশকে বলিউডে নিজের রাজত্ব গড়ে ফেলেছেন। তবে আমিরের পাশাপাশি আরও দুই খান, শাহরুখ এবং সালমানের রাজত্বও চলছে বলিউডে। ছবি: সংগৃহীত
-
আমির জানিয়েছেন, প্রথম ছবির সাফল্যের পর মনে হয়েছিল তিনি তারকা হওয়ার পথে এগোচ্ছেন। তবে ১৯৯১ সালে মহেশ ভাটের ছবি ‘দিল হ্যায় কে মানতা নহি’ তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। ২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে আমিরের দাবি, দিল হ্যায় কে মানতা নেহি ছবিতে একটা টুপি পরেছিলাম। সে ছবি মুক্তির পর সকলেই সেরকম টুপি কিনতে শুরু করেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, আমি স্টার হয়ে গিয়েছি। ছবি: সংগৃহীত
-
সুপারস্টার আমিরের আজ গাড়ি-বাড়ির অভাব নেই। তবে প্রথম ছবির সময় এমন ছিল না। আমির বলেন, প্রথম ছবিতে সাফল্য এসেছে বটে। তবে সে সময় নিজের গাড়িও ছিল না। ছবি: সংগৃহীত
-
আমিরের দাবি, কেয়ামত সে কেয়ামত করার পর যেখানেই যেতাম না কেন, আমাকে দেখতে লোকজন ছুটে চলে আসত। এক সময় রাস্তায় হাঁটতেও পারতাম না। তখনই প্রথমবার মনে হয়েছিল, আমি সাফল্যের পথে চলেছি। ছবি: সংগৃহীত
-
ক্যারিয়ারের শুরুতেই জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভাসতে শুরু করেছিলেন আমির। তবে নিজের গাড়ি না থাকায় তার যাতায়াত করতে অসুবিধা হত। তিনি বলেন, প্রথম ছবি করার পর অটো বা বাসে করে যাতায়াত করতাম। তবে এক সময় তা-ও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় আমার এক জায়গার যাওয়ার কথা ছিল। তবে যেখানেই যা-ই না কেন, চারপাশে লোকজনের ভিড়। ফলে চাচার কাছ থেকে তার গাড়ি ধার নিয়েছিলাম। ছবি: সংগৃহীত