ছোটপর্দা থেকে এসে বলিউড মাতিয়েছেন যারা
আজ যারা বলিউডের রূপালি পর্দার খ্যাতিমান অভিনেতা, তাদের অনেকেই টেলিভিশনের ছোটপর্দা থেকে এসেছেন। জেনে নিন যারা ছোটপর্দা থেকে এসে বলিউড জয় করেছেন।
-
শাহরুখের নাম শোনেননি, এমন বলিউডপ্রেমী নেই। টেলিভিশনের পর্দায় ‘দিল দরিয়া’, ‘ফৌজি’ ও ‘সার্কাস’ সিরিয়ালে অভিনয় তিনি শুরু করেছিলেন। তারপর একলাফে বলিউডে প্রবেশ। ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ হয়ে গিয়েছিলেন শাহরুখ। বাকিটা ইতিহাস! ’৯২ সালের ওই ফিল্মের পর দুনিয়াই বদলে গিয়েছিল শাহরুখের। তবে অনেকেরই হয়তো মনে নেই শাহরুখের মতোই সিরিয়ালের পর্দা থেকে বলিউডে জেঁকে বসেছেন বহু অভিনেতা। ছবি: সংগৃহীত
-
হিন্দিসহ সাতটি ভাষায় ফিল্ম করে ফেলেছেন। তবে তামিল, তেলুগু এবং হিন্দি ফিল্মেই আর মাধবনের বেশি যাতায়াত। দক্ষিণী ফিল্মে রোমান্টিক নায়ক হোক বা বলিউডের একঝাঁক তারকায় ভরা বিগ বাজেটের ফিল্ম- অনায়াসে পার করেছেন মাধবন। একদিকে গৌতম মেননের পরিচালনায় ‘মিন্নালে’ বা মণি রতœমের ‘আলায়পয়ুতে’-র মতো ফিল্মে রোমান্টিক হিরোর ভূমিকায়। অন্যদিকে, রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘রং দে বসন্তী’, রাজকুমার হিরানির ‘থ্রি ইডিয়টস’ বা মণি রত্নমের ‘গুরু’- অনায়াস যাতায়াত মাধবনের। ছবি: সংগৃহীত
-
ফিল্মি পর্দায় কাজের আগে টেলিভিশনেও প্রায় সমান হিট ছিলেন মাধবন। নব্বইয়ের দশকে এক ঝকঝকে স্মার্ট নৌসেনা অফিসারকে দেখতে অনেকেই টিভি খুলে বসতেন। দূরদর্শনের মেট্রো চ্যানেলে ‘সি হকস’ তখন তুমুল জনপ্রিয়। তবে সেই সিরিয়াল ছাড়াও ’৯৩ সালে ‘ইউল লভ স্টোরিজ’, ‘বনেগি আপনি বাত’, ‘ঘরজামাই’, ‘সায়া’ বা ‘তোল মোল কে বোল’সহ একের পর এক টিভি শোয়ে নিজের টিআরপি বাড়িয়েছেন মাধবন। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেকে মনে করেন, বলিউডি নায়িকাকে নতুনভাবে চিনতে শিখিয়েছেন বিদ্যা বালন। ‘পরিণীতা’র ধ্রæপদী খোলস বদল করে কখনও নিজের ‘কাহানি’ লিখেছেন। আবার কখনো সোচ্চার হয়েছে ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’-তে। আবার ‘লাগে রহো মুন্নাভাই’-এরপর ‘দ্য ডার্টি পিক্চার’ দিয়ে ছক বদলেছেন। খান বা কাপুরদের ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বিদ্যা। ছবি: সংগৃহীত
-
বলিউডে নিজের রাজত্ব গড়ে তোলার অনেক আগে সিরিয়ালেও দাপট দেখিয়েছিলেন বিদ্যা বালান। ‘হম পাঁচ’-এর মতো ‘সিটকম’-এ রাধিকা মাথুরকে আজও মনে রেখেছেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত
-
শাহরুখের মতোই বলিউড-যাত্রার আগে টেলিভিশনের জমিয়ে বসেছিলেন পুলকিত সম্রাট। তবে বলিউডে সুপারস্টারের তকমা না পেলেও ছাপ ফেলেছেন ‘ফুকরে’ পুলকিত। দিল্লির আনাচকানাচে পড়ে থাকা টুকরোটাকরা জীবনকে ‘ফুকরে’-তে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবি: সংগৃহীত
-
২০১৩ সালে ‘ফুকরে’ করার আগে থেকেই অবশ্য টেলিভিশনে তারকার তকমা পেয়ে গিয়েছিলেন পুলকিত। ‘কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি’-তে নজর কেড়েছেন। মৌনী রায়কে সঙ্গে নিয়ে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-তে মধ্যমণি হয়ে বসেছেন। ছবি: সংগৃহীত
-
চণ্ডীগড়ের থিয়েটারের মঞ্চ থেকে বলিউডের অনিশ্চিত জীবন। তবে বেপাড়ায় গিয়েও নিজের জমি নিশ্চিত করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। নিত্যদিনের খেটে খাওয়া মধ্যবিত্ত থেকে কঠিন মুখের পোড়খাওয়া পুলিশ- সবকিছুতেই সমান সাবলীল। নায়কোচিত হাবভাব নয়, বরং ‘আম আদমি’কে নিজের অভিনয়ে তুলে এনেছেন আয়ুষ্মান। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। ছবি: সংগৃহীত
-
বড় পর্দায় নজরে পড়ার আগে টিভি শোয়ে মুখ দেখিয়েছিলেন আয়ুষ্মান। ২০০৪ সালে ‘এমটিভি রোডিজ’-এর মতো রিয়ালিটি শো। তারপর ‘কেয়ামত’ এবং ‘এক থি রাজকুমারী’-এর মতো সিরিয়াল। কম কাজ করলেও তা নজরে পড়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে ইয়ামি গৌতমের মুখ দেখে অনেকেই বলতেন, ঠিক যেন বলিউডের নায়িকা! পরে সে কথাই হুবহু মিলে গিয়েছে। ‘ভিকি ডোনর’-এর মতো রোমান্টিক কমেডিতে বলিউডে প্রবেশ। তারপর ‘বদলাপুর’, ‘কাবিল’, ‘সনম রে’ বা ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর মতো ফিল্ম। ধীরে হলেও বলিউডে স্থান করে নিয়েছেন ইয়ামি। ছবি: সংগৃহীত
-
২০১২ সালে ‘ভিকি ডোনর’ ছবির অনেক আগে টেলিভিশনের সিরিয়ালেও মুখ দেখিয়েছিলেন ইয়ামি। ছোটপর্দায় জনপ্রিয়তা লাভেরর পর বড় পর্দায় এসেছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
খান পদবিধারী। তবে প্রচলিত অর্থে বলিউডের সুপারস্টার নন। তাতে কী! বড় পর্দায় নিজস্ব স্থান করে নিয়েছিলেন ইরফান খান। বলিউড তো বটেই, ব্রিটিশ এবং হলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ইরফানের অভিনয়ের ভাষায় মুগ্ধ অনেকেই। মীরা নায়ারের ‘সালাম বম্বে’ছবিতে পত্রলেখকের ছোট্ট রোল ছিল তার। ১৯৮৮ সালে সেই অভিষেকের দীর্ঘদিন পর ‘লাইফ ইন আ... মেট্রো’, ‘লাঞ্চবক্স’, ‘পান সিং তোমর’, ‘হাসিল’, ‘মকবুল’, ‘পিকু’, ‘নেমসেক’, ‘লাইফ অব পাই’, ‘ইনফারনো’, ‘স্লামডগ মিলিয়োনেয়ার’ ও ‘হায়দর’সহ ইরফানের ফিল্মের সংখ্যা যেন শেষ হতেই চায় না। ছবি: সংগৃহীত
-
৫৩ বছরে তার জীবন থেমে গেলেও ইরফানকে মনে রেখেছেন সিনেমাপ্রেমীরা। যেভাবে সিরিয়ালে বুঁদ দর্শকেরাও তাকে ভোলেননি। শ্যাম বেনেগালের ‘ভারত এক খোঁজ’ থেকে ‘চাণক্য’, ‘চন্দ্রকান্তা’, ‘বনেগি আপনি বাত’, ‘জাস্ট মহব্বত’, ‘মানো ইয়া না মানো’সহ বিভিন্ন সিরিয়ালে একসময়ে ছোট পর্দায়ও চুটিয়ে কাজ করেছেন ইরফান। ছবি: সংগৃহীত
-
চল্লিশের দশকে ফিল্ম প্রযোজক ছিলেন আদিত্য রায় কাপুরের ঠাকুরদা রঘুপত রায় কপূর। দাদা সিদ্ধার্থ রায় কাপুরও সে পথের পথিক। তবে মেজ’দা কুণাল রায় কাপুরের মতোই ফিল্মের অভিনয়ে বেশি আগ্রহী আদিত্য। ‘আশিকি ২’ বা ‘ওকে জানু’-র নায়ক আবার রণবীর কাপুরের পাশে ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-তেও মন খুলে ব্যাটিং করেছেন। আবার স্বমহিমায় দেখা গিয়েছে ‘মলং’ বা ‘লুডো’ ছবিতে। ছবি: সংগৃহীত
-
টেলিভিশনের সিরিয়ালে অভিনয় নয়, বরং সঞ্চালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন আদিত্য। একঝাঁক কোঁকড়া চুলের ঝুঁটি বাঁধা আদিত্যকে এককালে দেখা গিয়েছে ‘ইন্ডিয়াজ হটেস্ট’ বা ‘পাকাও’-এর মতো শোয়ের সঞ্চালনা করতে। ছবি: সংগৃহীত