সালমানকে বিয়ে করতে ১৬ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিলেন যে নায়িকা
বলিউড তারকা সালমান খানের জীবনে অনেক নারী প্রেমে পড়েছেন। তাদের অনেকের সঙ্গেই প্রেম টেকেনি। তবে তাদের মধ্যে কেউ সালমানকে বিয়ে করতে ভারতে চলে এসেছিলেন- এমনটা শোনা যায়নি! এবার সালমানের প্রাক্তন ‘প্রেমিকা’ সোমি আলি জানালেন তিনি তার প্রেমে পড়ে পাকিস্তান থেকে ছুটে এসেছিলেন ভারতে।
-
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নায়িকা নিজেকে সালমানের প্রেমিকা দাবি করলে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
নব্বইয়ের দশকে হাতেগোনা কয়েকটি ফিল্মে নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানের বাসিন্দা সোমিকে। তবে এককালের এই নায়িকা এখন নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে নারী অধিকারের লড়াইতে শামিল। ধর্ষণ বা পারিবারিক নারী নির্যাতনের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বলিউডে। মাত্র বছর পাঁচেক কাজ করেছিলেন। তবে নিজের ক্যারিয়ারের থেকেও একসময় বোধহয় সালমানের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে শিরোনামে থেকেছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
তখনও স্কুলের গণ্ডি পার হননি। এমনকি সালমানকে সামনাসামনিও দেখেননি। সেসময় থেকেই নাকি তার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন সোমি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, পরিবার আর সকলের মতো আমিও হিন্দি ফিল্মের পোকা ছিলাম। স্কুলে পড়ার সময় সালমান খানের ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ দেখেছিলাম। ছবি: সংগৃহীত
-
সুরজ বরজাতিয়ার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’-তে ভাগ্যশ্রীকে পাশে পেয়েছিলেন সালমান। ১৯৮৯ সালে সেই ফিল্মের পর নিজের ভাগ্যকে যেন হাতের মুঠোয় পুরে ফেলেছিলেন সালমান। ওই ফিল্ম মুক্তির আগেই অবশ্য ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’-তে পার্শ্বচরিত্রে দেখা গিয়েছে সালমানকে। তবে নায়ক হিসেবে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’-ই সালমানের প্রথম ফিল্ম! ছবি: সংগৃহীত
-
সুরজের ফিল্মের পর প্রায় তিন দশক কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে বলিউডে তিনি নিজেই একটি ব্র্যান্ড- সালমান। তিরিশ বছরে নিজের ফিল্ম ছাড়াও একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন সেলিম খানের ছেলে। ছবি: সংগৃহীত
-
সোমি আলি ছাড়াও সালমানের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সংগীত বিজলানি, ফারিয়া আলম, ঐশ্বরিয়া রাই, ক্যাটরিনা কাইফ থেকে শুরু করে ইয়ুলিয়া ভান্টুরের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত
-
তবে সালমানের কোনো ‘প্রেমিকা’ কি তাকে বিয়ে করার জন্য নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে এ দেশে এসেছেন? এককালে আমেরিকার ফ্লোরিডায় থাকতেন সোমি। তবে শুধুমাত্র সালমানকে বিয়ে করবেন বলে নাকি ফ্লোরিডা ছেড়ে এ দেশে চলে এসেছিলেন কিশোরী সোমি। ছবি: সংগৃহীত
-
ওই ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। এতদিন পর সে ঘটনার কথা খোলসা করেছেন সোমি। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ দেখার পর থেকেই সালমানের উপর গভীর টান জন্মেছিল। এক রাতে তো ওকে স্বপ্নেও দেখেছিলাম। তখনই ঠিক করি যে সালমানকে বিয়ে করতে হবে। সে জন্য ভারতে যাব! তখন সোমির বয়স মাত্র ১৬। ছবি: সংগৃহীত
-
করাচির বাড়িতে ১২ বয়স পর্যন্ত বসবাস ছিল সোমির। তারপর ফ্লোরিডায় থাকতে শুরু করেন তারা। তবে সালমানের প্রেমে মজে সে বাড়ি ছাড়ার জন্য মায়ের কাছে কাকুতিমিনতি করতে থাকেন সোমি। শেষমেশ ভারতেও চলে আসেন তিনি। যাওয়ার আগে মাকে বলেছিলেন, সালমানকে বিয়ে করতে মুম্বাই যাচ্ছি! ছবি: সংগৃহীত
-
সালমানকে বিয়ের সিদ্ধান্তের পিছনে যে ওপরওয়ালার হাত রয়েছে, তেমনই মনে করতেন সোমি। তার কথায়, সালমানকে স্বপ্নে দেখার পর ওকে বিয়ের করব বলে স্থির করেছিলাম। মনে হয়েছিল, এ ঈশ্বরিক আদেশ। ছবি: সংগৃহীত
-
এক সময় সব ছেড়ে এ দেশে চলে আসেন সোমি। সালমানের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর নিজের স্বপ্নের কথা তাকে জানিয়েও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নেপালের পথে রওনা দিয়েছিলাম। সে সময় আমার পাশেই বসেছিলেন সালমান। ওর একটা ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম, ‘তোমাকে বিয়ে করতেই এত দূর থেকে এ দেশে এসেছি! এ কথায় সালমানের মন্তব্য ছিল, ‘আমার গার্লফ্রেন্ড রয়েছে।’ বান্ধবী থাকলেও যে তা পরোয়া করেন না, সে কথা সালমানকে জানিয়েছিলেন সোমি। ছবি: সংগৃহীত
-
সোমি জানিয়েছেন, নেপালে তাদের ওই কথোপকথনের বছরখানেক পর সালমানের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রপাত। সালটা ১৯৯১। সে সময় সোমির বয়স মাত্র ১৭। নিজের থেকে প্রায় আট বছরের বড় সালমানের সঙ্গে সোমির ‘সম্পর্ক’ টিকেছিল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ছবি: সংগৃহীত
-
সালমানই নাকি সোমির প্রতি তার ভালোবাসার কথা প্রথমে মুখ ফুটে স্বীকার করেন। সোমি বলেন, আমাকে প্রথমে ‘আই লভ ইউ’ বলেছিল সালমানই। ব্যস্! তাতেই কাজ হয়েছিল। বিশেষ বোঝাতে হয়নি। ছবি: সংগৃহীত
-
একটানা আট বছরের ‘সম্পর্ক’ সত্ত্বেও এক সময় বিচ্ছেদ আসে সোমির জীবনে। সোমির কথায়, ‘এখন মনে হয়, সালমানকে বিয়ে করার জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে যাওয়াটা কী বোকামিই ছিল! তখন আমি মাত্র ১৬ বছরের...। ছবি: সংগৃহীত
-
সালমানের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ভেঙে গেলেও তাকে নিয়ে কুৎসা করেননি সোমি। বরং সালমান ও তার পরিবারের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলেই জানিয়েছেন। তার কথায়, ‘সালমানের মা-বাবা এবং ওর পরিবারের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। সালমানের সম্পর্কেও একই কথা বলব। তাছাড়া, কোনো সম্পর্কে সুখী না হলে তা ছেড়ে বেরিয়ে আসাই উচিত। আমাদের ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল। এরপর এক সময় আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি! ছবি: সংগৃহীত