জন আব্রাহামের জীবনের অজানা গল্প
বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহম জীবনের ৪৮টি বসন্ত পেরিয়ে এখনও তরুণ। জেনে নিন জন আব্রাহামের জীবনের অজানা গল্প।
-
জনের আসল নাম ফারহান ইরানি। এই নাম, পদবি সবই মায়ের পক্ষের। জন তার বাবার নাম একটু উল্টে পালটে ব্যবহার করেন। অভিনেতার বাবার নাম ঠিক তার নামের বিপরীত, ‘আব্রাহাম জন’। ছবি: সংগৃহীত
-
শৈশব থেকেই জন খুব লড়াকু। তার এই লড়াইয়ের পিছনে ছিলেন তার বাবা। জনের বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রতি মুহূর্তে তাকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হয়েছে। কিন্তু জীবনের পথে এগিয়ে দিত তার বাঁচার অদম্য ইচ্ছে। বাবার পাশে সারাক্ষণ তার শক্তি হয়ে থাকতেন জনের মা। জন তাই হারতে শেখেননি। ছবি: সংগৃহীত
-
জনের ক্যারিয়ার শুরু হয় মিউজিক ভিডিও দিয়ে। একটি পাঞ্জাবি গানের অ্যালবামে তিনি অপরাধ দমন শাখার অফিসার। বড় পর্দায় প্রথম ছবি ‘জিসম’। এই ছবি করার পরেই এক জ্যোতিষীর কাছে গিয়েছিলেন তিনি। জ্যোতিষী কি বলেছিলেন জনকে? এটাই প্রথম, এটাই শেষ ছবি অভিনেতার! বাস্তব কী বলছে? একাধিক জনপ্রিয় ছবি রয়েছে তার ঝুলিতে। ছবি: সংগৃহীত
-
যদি অভিনয়ে না আসতেন তা হলে কী করতেন জন? তার শিক্ষা, তার শখ বলছে, অনেক কিছুই করতে পারতেন। অর্থনীতিতে স্নাতক, বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর জন চুটিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মী হতে পারতেন। তার শখ ছিল স্থপতি হবেন বাবা এবং দাদার মতো। অনেক জনসংযোগ মাধ্যমেও কাজ করেছেন জন। সেখান থেকেই আচমকা সুপার মডেল রানার্স আপের খেতাব জয় করেন। এরপর চলে আসেন অভিনয়ে। ছবি: সংগৃহীত
-
অথচ জন কিন্তু কোনোদিন ভাবেননি তিনি অভিনয়ে আসবেন। কারণ তার মুখ ভর্তি ব্রণ আর দাগছোপ। তাকেই মডেলিংয়ের শুরুতে ভারতের জনপ্রিয় চিত্রগ্রাহক অতুল কাসবেকার বলেছিলেন, মুখের দাগছোপ, ব্রণগুলো না থাকলে তুমিই একাধারে অর্জুন রামপাল, রাহুল দেব, মার্ক রবিসনস, মিলিন্দ সোমন। ছবি: সংগৃহীত
-
জনের কোনটা বেশি আকর্ষণীয়? পেশিবহুল চেহারা, গালে টোল ফেলা হাসি, শুরুতে চুলের লম্বা চুল নাকি সাজ-পোশাক? আসলে জনের সব কিছুই আকর্ষণীয়। ছবি: সংগৃহীত
-
মডেলিং শুরু করার পরেই ধীরে ধীরে নিজের দিকে মনোযোগী হয়ে পড়েন জন। ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে প্রায়ই দেখা যেত বান্দ্রার এক জিমে। ওই জিমে শরীরচর্চা করতে আসতেন বিপাশা বসুও। সেখান থেকেই প্রেম। শুরু লম্বা প্রেম কাহিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
২০০২ থেকে ২০১১ সালে জন-বিপাশা একটা সময় মায়া নগরীর ‘মিথ’ হয়ে গিয়েছিলেন। অথচ কেউ জানেন না, আরও এক বাঙালি মেয়ের প্রেমে মজেছিলেন এই অভিনেতা। কে সেই বাঙালি মেয়ে? বলিউড বলছে, তিনি সেনসুন্দরী রিয়া। সুচিত্রা সেনের ছোট নাতনি। খুবই অল্প দিনের প্রেম। কিন্তু খুবই নাকি গাঢ় ছিল তাদের সম্পর্ক। ছবি: সংগৃহীত
-
যিনি সুযোগ পেলেই দুই চাকার যানে ‘ঘোড়সওয়ারি’ করেন, যিনি বাস্কেট বলে আগ্রহী, যিনি শরীরচর্চায় গভীর মনোযোগী তিনি খেলাধুলা ভালোবাসবেন সেটাই স্বাভাবিক। জন তাই ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও সমান মনোযোগী। সবাই তার অনুরাগী। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির! ধোনির বিয়েতে তিনি একমাত্র বলিউড থেকে আমন্ত্রিত ছিলেন। ধোনিও তার ভক্তের মতো চুল কেটেছেন একটা সময়। ছবি: সংগৃহীত
-
এতো কিছুর ফাঁকে জাতীয় পুরস্কারের মতো সম্মানও জন আদায় করে নিয়েছেন। সুজিত সরকার পরিচালিত ‘ভিকি ডোনার’-এর মাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত
-
জনের জনপ্রিয়তার অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। একবার একদল নারী জনের উপরে রীতিমতো হামলা চালিয়েছিলেন! জনের গায়ের টি-শার্টের বোতাম খুলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আঙুল! ধারালো নখের আঁচড়ে জন ক্ষত-বিক্ষত। রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে শরীর থেকে। কোনো মতে ছাড়িয়ে নিতে নিতে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন এক অনুরাগিনীকে। ছবি: সংগৃহীত
-
জীবনে প্রচুর প্রেম, অসংখ্য অনুরাগিনী। পর্দাতেও জনের চারপাশে সারাক্ষণ সুরা আর নারীর ভিড়! বাস্তবেও অভিনেতার জীবন বুঝি খুবই রঙিন? বলিউড বলছে, বারেবারে প্রেমে পড়লেও নেশার কবলে কোনোদিন পড়েননি জন। ভুলেও নিশিঠেকে পা রাখেন না। রাত জেগে পার্টি করেন না। শরীরের যতœ তার কাছে সবার আগে। ছবি: সংগৃহীত