যে নায়িকার সাথে হাতেনাতে ধরতে শুটিং স্পটে যান অক্ষয়ের স্ত্রী
অন্যান্য তারকার মত অক্ষয় কুমারের প্রেম নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা ছিল। তার স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্না অক্ষয়ের প্রেম হাতেনাতে নাতে ছুটে যান শুটিং স্পটেও।
-
অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কেল খান্না। বলিউডের সুখি দম্পতি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্যও টলমল করেছে। তার কারণ ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। টুইঙ্কলেক একবার অক্ষয় নাকি বলেছিলেন, তিনি প্রিয়ঙ্কার প্রতি দুর্বল।
-
ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রিয়াঙ্কা অভিনয় করেছিলেন ‘অন্দাজ’ ছবিতে। সুপারহিট এই ছবিতে অক্ষয়-প্রিয়াঙ্কা জুটি দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছিল। পরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে দু’জনে কাজ করেন।
-
২০০১ সালে টুইঙ্কেলক বিয়ের পরেও বলিউডে অক্ষয়ের ‘প্লে বয়’ ভাবমূর্তি বজায় ছিল। টুইঙ্কেল অবশ্য নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছিলেন। বিয়ের পরে অন্য নায়িকার সঙ্গে অক্ষয়ের নাম জড়িয়ে গেলে টুইঙ্কল ক্ষুব্ধ হতেন স্বাভাবিক ভাবেই।
-
বিয়ের পরেও অক্ষয়ের প্রথম লক্ষ্য ছিল ক্যারিয়ার। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। প্রথম দিকে তাদের সম্পর্কের গুঞ্জনকে গুরুত্ব দিতেন না টুইঙ্কেল। উড়িয়ে দিতেন গুজব বলে।
-
কিন্তু ক্রমে টুইঙ্কেলের সন্দেহ দৃঢ় হতে থাকে। ‘ওয়ক্ত’ ছবির শুটিংয়ে টুইঙ্কেল নিজেই গিয়ে হাজির হন। সে সময় ইউনিটের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি আন্দাজ করতে পারেন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক ‘নিছক বন্ধুত্বের’ সীমানা পেরিয়ে গিয়েছে।
-
গুঞ্জন, এরপর স্বামীর সঙ্গে কথা না বলে প্রিয়াঙ্কাকেই ফোন করেন টুইঙ্কেল। এবং ফোনে দুই নায়িকার মধ্যে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয়। এখানেই শেষ হয়নি, জল গড়িয়ে যায় আরও বহু দূর। আরও একবার শুটিংস্পটে হাজির হন টুইঙ্কেল। উদ্দেশ্য ছিল, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলা।
-
কিন্তু সে দিন প্রিয়াঙ্কা ছিলেন না শুটিংয়ে। পরিবর্তে, স্বামীর মুখোমুখি হন টুইঙ্কেল। গোয়ার ওই হোটেলের কর্মীদের দাবি, প্রকাশ্যেই চরমে ওঠে দু’জনের বাদানুবাদ। তাদের কথা কাটাকাটিতে বার বার উঠে এসেছিল ‘প্রিয়াঙ্কা’র নাম।
-
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঝগড়ার মধ্যে মেজাজ হারিয়ে স্থান-কাল-পাত্র ভুলে অক্ষয় নাকি বলে ওঠেন, হ্যা, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার প্রেম আছে। এর মাসুল দিতে হয়েছিল অক্ষয়কে। তাকে এবং দু’বছরের ছেলে আরভকে গোয়ায় রেখে টুইঙ্কেল মুম্বাই ফিরে গিয়েছিলেন।
-
যদিও পরে টুইঙ্কেল এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তিনি দুবাই গিয়েছিলেন। ছেলে আরভ ছিল গোয়ায়, তার বাবার সঙ্গে। দাম্পত্য বিবাদের কথা স্বীকার করেননি রাজেশ-কন্যা। এই ঘটনায় কথা অস্বীকার করেছিলেন অক্ষয়ও।
-
সে সময় বলিউডে পরপর বিচ্ছেদ হচ্ছিল তারকা-দম্পতির। রীনার সঙ্গে আমিরের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল। আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন সেফ এবং অমৃতা। মুখ থুবড়ে পড়েছিল সলমন ঐশ্বর্যার প্রেমও। এরকম একটা সময়ে ভেসে ওঠে অক্ষয়-টুইঙ্কেলের বিচ্ছেদের আশঙ্কাও।
-
এরপর অক্ষয় জানিয়ে দেন, তিনি আর প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে অভিনয় করবেন না। তিনি চেয়েছিলেন তার দাম্পত্যকে বাঁচাতে। তার এই কথায় একই সঙ্গে আহত ও বিস্মিত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনিও বলে দেন, অক্ষয়ের সঙ্গে এরপর আর কাজ করবেন না।
-
‘ওয়ক্ত’ ছবির পরে এই জুটিকে আর পর্দায় দেখা যায়নি। ‘নমস্তে লন্ডন’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু শেষ অবধি তার জায়গায় অভিনয় করেন ক্যাটরিনা কাইফ। তবে অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কথা কোনোদিন স্বীকার করেননি প্রিয়াঙ্কাও।