সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নতুন রহস্য
সদ্যপ্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সুশান্তর মৃত্যু তদন্ত নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। জেনে নিন সেই রহস্য সম্পর্কে।
-
মাত্র ৩৪ বছর বয়সে চলে গেলেন বলিটাউনের কেদারনাথ সুশান্ত সিং রাজপুত। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ, ঘর থেকে মেলে কিছু প্রেসক্রিপশন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, অবসাদের কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু কেন দানা বেঁধেছিল অবসাদ? আদৌ কি তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন? নাকি রয়েছে অন্য কোনও চক্রান্ত ? সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় এবার প্রয়াত অভিনেতার চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করল মুম্বাই পুলিশ।
-
সুশান্তের মৃত্যুর পর তার চার্টার রোডের ফ্ল্যাট থেকে ওই চিকিৎসকেরই প্রেসক্রিপশন উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকেই জানা যায়, সম্প্রতি অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা, জানুয়ারি মাস থেকে চিকিৎসকের পরামর্শও নিচ্ছিলেন। তাকে দেয়া হয়েছিল অবসাদ কাটানোর ওষুধ। এবার সেই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করল মুম্বাই পুলিশ।
-
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক আগেই ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেত। কিন্তু সুশান্তের কাছের মানুষেরা তার অবসাদ সম্পর্কে কী বলছেন, তা আগে খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। এবার সেইসব তথ্যের সঙ্গে চিকিৎসকের বক্তব্য ক্রসচেক করে দেখা হবে।
-
মুম্বাই পুলিশের জেরায় সুশান্তের এক বন্ধু জানান, প্রয়াত অভিনেতা নাকি প্রায়ই বলতেন কেউ তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে চাইছে। তিনি দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এবার পুলিশ খতিয়ে দেখছে সুশান্ত আদৌ কি এরকম ভয় পাচ্ছিলেন? চিকিৎসককে কি এরকম কিছু কথা জানিয়েছিলেন?
-
অঙ্কিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ভেঙে পড়েছেন বলে ওই চিকিৎসককে জানান সুশান্ত। অঙ্কিতার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে তিনি ভুল করেছেন বলেও নাকি ওই চিকিৎসককে জানিয়েছিলেন সুশান্ত। অঙ্কিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ভেঙে পড়েছেন বলে ওই চিকিৎসককে জানান সুশান্ত।
-
অন্যদিকে, সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি উড়িয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে সিবিআই-এর প্রয়োজন নেই। মুম্বাই পুলিশই যথেষ্ট। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিল দেশমুখ জানান, ‘এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য মুম্বাই পুলিশ যথেষ্ট যোগ্য। সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন দেখছি না। মুম্বাই পুলিশ দক্ষ এবং তৎপর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে দেয়ার কোনো রকম আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না।