সুশান্তের আত্মহত্যার মামলায় পুলিশকে যা বলেছে এই অভিনেত্রী
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যার মামলায় ‘দিল বেচারা’র নায়িকাকে নয় ঘণ্টা জেরা, থানার বাইরে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। জেনে নিন সে সম্পর্কে।
-
সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার তদন্তে অভিনেত্রী সঞ্জনা সাংঘিকে সাত ঘণ্ট ধরে জেরা করল মুম্বাই পুলিশ। সুশান্তের শেষ অভিনীত ছবি ‘দিল বেচারা’য় কাজ করেছেন সঞ্জনা। পাশাপাশি, চিত্রপরিচালক শেখর কাপুরের সঙ্গে বিশদে কথা বলবে পুলিশ। এই পরিচালকের সঙ্গে ‘পানি’ ছবিতে কাজ করার কথা হয়েছিল সুশান্তর, যদিও শেষপর্যন্ত ছবিটি হয়নি। আবার, সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তার শরীরে সন্দেহজনক কোনো তরল বা জলীয় পদার্থের সন্ধান মেলেনি।
-
সঞ্জনার সঙ্গে সুশান্তের অভিনীত ছবিটি চলতি মাসের ২৪ তারিখে একটি ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে। ছবিটি ঘিরে মানুষের যেমন উৎসাহ রয়েছে, তেমনই সুশান্তের শেষ কো-স্টারের সঙ্গে বান্দ্রা থানার পুলিশ সাত ঘণ্টা ধরে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করল তা নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
-
পুলিশ সঞ্জনাকে নয় ঘণ্টন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা নাগাদ থানায় আসেন তিনি। বেরোন রাত ৮ টা নাগাদ।
-
শেখর কাপুরের সঙ্গে যে পুলিশ সুশান্তের ব্যাপারে কথা বলতে চাইছে তার অন্যতম কারণ হলো অভিনেতার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখরের স্পর্শকাতর পোস্ট।
-
শেখর ট্যুইট করেন, ‘আমি জানি কারা তোমায় কষ্ট দিয়েছিল। আমি জানি কারা তোমায় অবসাদের এনে ফেলেছিল। মনে হচ্ছে শেষ ছটা মাস যদি তোমার কাছে থাকতে পারতাম, তাহলে অন্তত আমার সঙ্গে কথা বলে তুমি হাল্কা হতে পারতে। তোমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা ওদের কারণেই ঘটেছে, তোমার জন্য নয়।’ শেখর কাদের প্রতি দোষারোপ করতে চেয়েছেন, তার কাছে সুশান্ত কাদের দিকে আঙুল তুলেছিল, সে সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে চাইছে পুলিশ, যা আগামী তদন্তে সহায়ক হতে পারে।
-
যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে তিনটি ছবি নিয়ে চুক্তি হয়েছিল সুশান্তর। সেই সংক্রান্ত কাগজ-পত্র পুলিশের হাতে এসেছে। দেখা গিয়েছে যে চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ছবির জন্য ৩০ লাখ, দ্বিতীয় ছবির জন্য ৬০ লাখ এবং তৃতীয় ছবির ১ কোটি টাকা পাবেন অভিনেতা। ২০১৩ সালে প্রথম ছবি ‘ছিল শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’। ২০১৫ সালে করেন ‘ব্যোমকেশ বক্সি’। তৃতীয় ছবিটি করার কথা ছিল শেখর কাপুরের সঙ্গে। সেই ছবিটিই ‘পানি’। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে শেখরের বনিবনা না হওয়ার ছবিটি আর হতে পারেনি।
-
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় সুশান্তর। কিন্তু শেখরের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। আর সে জন্যই কিছু নতুন তথ্য পাওয়ার আশায় আছে পুলিশ।
-
সুশান্তকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়নি তো, এমন প্রশ্নটা যাঁদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল তাঁরা অপেক্ষা করে ছিলেন ভিসেরা রিপোর্টের জন্য। সেই রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ বেরিয়েছে। শরীরে বিষ বা ক্ষতিকারক কোনো তরল পদার্থের সন্ধান মেলেনি। জেজে হাসপাতালে পাঁচ জন চিকিৎসক পরীক্ষা করেছেন রিপোর্ট। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ময়না তদন্তের রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছিল যে গলায় দড়ির ফাঁসে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটেছে অভিনেতার।