বলিউডের যেসব সিনেমা দেখলে জানা যাবে ভালোবাসা কেমন হবে
সিনেমা একটা কল্পনার জগৎ তৈরি করে দেয় আমাদের মনে। সিনেমার দুষ্টু-মিষ্টি প্রেম কাহিনি কিশোর-কিশোরীদের অনেকেই তার নিজের জীবনে কল্পনা করেন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রইল এমনই কিছু বলিউডের সিনেমার কথা, যেগুলো সর্বকালের সেরা রোমান্টিক মুভি। যা দেখে শেখা যাবে ভালোবাসা কেমন হবে।
-
বীর-জারা: ভারতীয় বীর পাকিস্তানি জারার প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু কাঁটাতার তাদের প্রেমের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ভারতীয় চড় সন্দেহে ২২ বছর পাকিস্তানের জেলে কাটাতে হয়েছিল বীরকে। ২২ বছর পর বীর-জারা এক হন। তখনও তাদের মধ্যে এতটুকু প্রেমের ঘাটতি হয়নি।
-
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে: ১৯৯৫ সালের লাভ স্টোরি। অথচ এখনও মুখে মুখে এই ফিল্মের কথাই ঘোরে। এখনও প্রেমের গান বললেই এই ফিল্মের গান মাথায় আসে। সিমরান আর রাজের প্রেম-কাহিনি ২৫ বছর পরও অক্ষত রয়ে গিয়েছে।
-
মাসান: ২০১৫ সালের ফিল্ম এটা। চিত্রনাট্যই হল ছবির নায়ক। আর এ ছবির প্রকৃত নায়ক যদি বলতে হয়, তা অবশ্যই চিত্রনাট্য। সঙ্গে ছিল ভিকি কৌশলের অনবদ্য অভিনয়। এই দুইয়ের মিশেলে ‘মাসান’ প্রতিটি ফিল্মপ্রেমীর হৃদয়ে গাঁথা হয়ে রয়েছে।
-
ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি: একটা ছেলে যে সারা জীবন মুক্ত বিহঙ্গের মতো সারা বিশ্বে উড়ে বেড়াতে চায়, আর একটা অতি সাধারণ জীবন কাটাতে ইচ্ছুক মেয়ে। দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্র যখন কাছাকাছি আসে তখন কী হয়? এই ফিল্মটিই সেটা তুলে ধরেছিল দর্শকদের কাছে।
-
শুদ্ধ দেশি রোমান্স: ২০১৩ সালের ফিল্ম। রোম্যান্টিক, কমেডি ফিল্ম। প্রয়োজন আদিত্য চোপড়ার এই ফিল্ম লিভ-ইন রিলেশন এবং বিয়ে, এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভর করে এগিয়েছে। বলিউডের অন্যতম রেমান্টিক ফিল্ম এটি।
-
গলিয়োঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা: দুটো প্রতিদ্বন্দ্বী পরিবারের ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম হয়। জানতে পারলে তাদের আলাদা করে দেয়া হয়। সঞ্জয় লীলা ভানসালির এই ছবি আবেগ আর প্রেমে ভরপুর।
-
রকস্টার: এক গায়কের গল্প। প্রেম-বিচ্ছেদের দশা কাটিয়ে যখন নিজেকে জনপ্রিয় গায়কের পরিচয় দিয়েছেন, ঠিক সে সময়ই পুরনো প্রেম আবার সামনে এসে যায়। কী হয় তারপর? কোনদিকে মোড় ঘুরবে কাহিনির? এই নিয়েই এগিয়ে চলে ফিল্মের গল্প।
-
জব উই মেট: এই ফিল্মটা দেখেনি, এরকম খুঁজে পাওয়া বোধহয় কষ্টসাধ্যই হবে। বাচাল গীতার সঙ্গে ট্রেনে পরিচয় আদিত্যর। গীতাকে ভালোবেসে ফেলেন তিনি। গীতার ভালবাসা ছিল অন্য কেউ। ঘটনাচক্রে গীতা কিন্তু শেষমেশ আদিত্যর জীবনেই ফিরে আসে। ২০০৭ সালের সেই ফিল্ম পর্দায় এলে, আজও বসে দেখেন মানুষ।
-
কুছ কুছ হোতা হ্যায়: ১৯৯৮ সালের এ ফিল্মটা নিয়ে আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সুপার হিট ফিল্ম ছিল এটা। রোমান্টিক ফিল্মের কথা যেখানে হচ্ছে, সেখানে এই ফিল্ম বাদ দেয়া যায় না।