দেখুন দোলন-দীপঙ্করের বিয়ের অপ্রকাশিত ছবি
দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ‘লিভ-ইন’ সম্পর্কে থাকা দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায় গত ১৬ জানুয়ারি বাঁধা পড়েছিলেন সাতপাকে। আইনি মতে বিয়ে করেছিলেন তারা। এবার প্রকাশিত হল দীপঙ্কর-দোলনের বিয়ের একগুচ্ছ ছবি।
-
সাদা পাঞ্জাবিতে বরের বেশে দীপঙ্কর এবং লাল জমকালো শাড়িতে দোলনের বধূ বেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু দিন ট্রেন্ডিং ছিল।
-
ভারতের হাইল্যান্ড পার্কের পাশে এক হোটেলে বসেছিল বিয়ের আসর। না, টোপর পরে, জাঁকজমকের বিয়ে করেননি তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দু’জনের কাছের বেশ কয়েকজন বন্ধু এবং পরিবারের লোকেরা।
-
তবে মালাবদল থেকে আংটি বদল লিস্টে ছিল সবই। আয়োজন বিশেষ ছিল না, নিমন্ত্রিতদের সংখ্যাও নেহাতই কম। কিন্তু তা সত্তে¡ও দীপঙ্কর আর দোলনের বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল সাইটে হাইপ কিছু কম হয়নি।
-
দীপঙ্করের বয়স ৭৫, দোলন ৪৯। অঙ্ক কষলে দেখা যাবে, বয়সের ফারাক ২৫ বছরেরও বেশি। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না দু’জনের। কথায় বলে না, এজ ইজ জাস্ট আ নাম্বার। আর সেই কথাকেই যেন বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন দীপঙ্কর-দোলন।
-
বিয়েতে দোলন পরেছিলেন লালরঙা বেনারসী। ঘটি হাতা বøাউজ। মাথা ভর্তি সিঁদুর। লাল রঙের টিপ। সঙ্গে ছিল মানানসই গয়না।
-
দীপঙ্করের সাজ ছিল বেশ ছিমছাম। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতেও কিন্তু দোলনকে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছিলেন তিনি।
-
তবে, বিয়ের পরের দিনই ‘দে পরিবারে’ আচমকাই ভিড় করেছিল উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে দীপঙ্করকে ভর্তি হতে হয়েছিল বাইপাসের এক হাসপাতালে। ভর্তি ছিলেন আইসিইউতে।
-
হাসপাতালে প্রায় চারদিন কাটিয়ে এক সপ্তাহ আগে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। মানতে হচ্ছে নিয়ম। তবে আগের থেকে এখন অনেকটাই ভাল অভিনেতা।
-
দীপঙ্কর আর দোলন যে সময়টায় শুরু করেছিলেন সে সময়ে লিভ-ইনের এতটা চল ছিল না। একে বয়সের এতটা ফারাক তার মধ্যে দোসর লিভ-ইন। নানা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ওদের। দীপঙ্কর তখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা আর দোলন সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। শুনতে হয়েছিল নানা কটূ কথা। ইন্ডাস্ট্রির ভেতরেও তখন হাজারো গসিপ।
-
এত বছর ধরে ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে পারার ম্যাজিকটা কী? দোলন বলছিলেন, ‘সততা। পরস্পরের প্রতি নির্ভরতা আর বিশ্বাস।’ তার কথায়, ‘এত বড় অভিনেতা হওয়া সত্তে¡ও কাজের ব্যাপারে দোলনের উপর কোনো দিন কিছুই চাপাননি দীপঙ্কর।’
-
আর সে জন্যই বোধ হয় ২২ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক পেল পরিণতি। এক শীতের রাতে সকলের অগোচরে আইনি ভাবে বাঁধা পড়লেন দীপঙ্কর দোলন।