৫২ বছরেও অক্ষয় যেভাবে চিরতরুণ নায়ক
বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার ৫২ বছরেও তার চেহারায় তারুণ্য ধরে রেখেছেন। এখনো নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছেন। জেনে নিন তার এই তারুণ্যের রহস্য।
-
১৯৬৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম অক্ষয় কুমারের। হিসাব করলে দাঁড়ায় ঠিক ৫২ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। কিন্তু বয়সের ছাপ তার চোখে-মুখে বা স্বাস্থ্যে কোথাও এতটুকু পড়েনি।
-
অক্ষয় কুমারের এই ফিটনেস-এর রহস্য কী? পেশীযুক্ত শরীর বানাতে অধিকাংশ অভিনেতা যখন স্টেরয়েডের দিকে ঝুঁকে থাকেন, সেখানে বাইরে থেকে কোনো রকম স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ না খেয়েও কীভাবে অক্ষয় এমন মেদমুক্ত স্বাস্থ্য ধরে রেখেছেন?
-
সবটাই লুকিয়ে রয়েছে অক্ষয়ের ফিটনেস পরিকল্পনায়। অক্ষয়ের ডায়েট চার্টে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার দিক থেকে অক্ষয়ের দৈনন্দিন রুটিন অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর থেকে অনেকটাই আলাদা। এ ব্যাপারে অক্ষয় পুরোপুরি নিজের মন্ত্রে চলেন।
-
অক্ষয় খুব সরল জীবনযাপন করেন। রাত ৯টায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এবং রোজ ভোর সাড়ে চারটায় উঠে পড়েন।
-
ভোরে ঘুম থেকে উঠেই তিনি শরীরচর্চা শুরু করেন। ঘুম থেকে উঠে তার প্রথম কাজ হাঁটা। সমস্ত তারকাদেরই নির্দিষ্ট জিম ট্রেনার থাকে। অক্ষয়ের কিন্তু কোনো ট্রেইনার নেই। জিমে অক্ষয় যান এবং নিজের ইচ্ছামতো শরীরচর্চা করেন। যে দিন যেটা করতে ইচ্ছা করে, সেদিন সেটাই করেন তিনি।
-
তবে জিমে ওয়েট লিফ্টিং করেন না তিনি। অক্ষয় মার্শাল আর্ট এবং কিক বক্সিংয়ে প্রশিক্ষিত। নিয়মিত তা অনুশীলন করেন। এর বাইরে সারাদিন ধরেই তিনি অবসর সময়কে কাজে লাগান। কখনো হাঁটেন, কখনো দৌড়ান, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন।
-
অনেকটা সময় শরীরচর্চা করার পর নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন করেন। এনার্জি এবং গতি বাড়ানোর জন্য সপ্তাহে তিন দিন নিয়ম করে বাস্কেট বল খেলেন।
-
স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কোনো রকম দোকানজাত সাপ্লিমেন্টের উপর নির্ভর করেন না খিলাড়ি। দোকানজাত প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েড একেবারেই খান না। এমনকি ওষুধের উপরও নির্ভর করেন না তিনি। জ্বর-সর্দি-কাশির জন্য দোকান থেকে ওষুধ না কিনে ঔষধি গুণসমৃদ্ধ বিভিন্ন ভেষজ গাছ-পাতা খেয়ে ফেলেন।
-
এত গেল মূলত অক্ষয়ের শরীরচর্চার কথা। সারাদিন কী ধরনের খাবার তিনি খেয়ে থাকেন? চা, কফি, মদ, সিগারেট- এসবে একেবারে ছুঁয়েই দেখেন না অক্ষয়। রবিবার করে তার পছন্দের মিষ্টি খান আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলো খুব পরিমিত খান।
-
সন্ধ্যা ৭টায় ডিনার সেরে ফেলেন। আর রোজ ৯টায় ঘুমতে যান। মাঝের এই দুঘণ্টা খাবার হজমের জন্য হালকা কিছু কাজ করেন।
-
ব্রেকফাস্টে থাকে পরোটা, এক গ্লাস দুধ বা ফলের রস বা মিল্কশেকস্ আর ডিম। এর দুঘণ্টা পর তিনি তাজা ফল খান। নানারকম সব্জি তার খুব পছন্দের, ড্রাই ফল খান।
-
লাঞ্চে তিনি পছন্দ করেন ডাল, রুটি, সিদ্ধ চিকেন এবং দই। রাতে সবচেয়ে হালকা খাবার খান তিনি। নানারকম সব্জি দিয়ে স্যুপ এবং স্যালাড। ব্যস এটুকু খেয়েই শুয়ে পড়েন। ইচ্ছা করলেও ঘুরেও রাতে মিষ্টির দিকে তাকান না।
-
ভাত খেলে শুধুমাত্র ব্রাউন রাইস খান তিনি। সারাদিনে আমলার রস, আখরোট এগুলোও খেয়ে থাকেন। প্রসেসড্ ফুড একেবারেই পছন্দ নয় তার। আর সব রকমের সব্জি খান।