ক্রিকেটার ধোনির ক্যারিয়ারের ব্যর্থতার দিকগুলো জেনে নিন
দীর্ঘদিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সাফল্যের নানা রঙের পালক রয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির মুকুটে। তবে সেই সবের মাঝে রয়েছে ব্যর্থতার কালো ছায়াও। মাহির ক্যারিয়ারে এমন দিকগুলোর কথা এবার জেনে নিন।
-
১৯৮৩ সালে প্রথমবার ট্রফি জয় হোক বা ২০১১ সালে ফের চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ছিনিয়ে নেয়া। আইসিসি বিশ্বকাপে ক্রিকেট ফ্যানদের বহু স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে এত গৌরবগাথার মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০০৭ সালে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টকে ভুলে যেতে চাইবেন মাহি।
-
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের মতো তথাকথিত দুর্বল টিমের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায় ভারত। এরপর বারমুডাকে হারালেও শ্রীলঙ্কার কাছে ৬৯ রানে হেরে সেবার প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেয় দ্রাবিড়ের টিম। সেই রোষে ক্ষিপ্ত ঝাড়খন্ড মুক্তিমোর্চার সমর্থকদের একাংশ পাথর ছোড়ে ধোনির বাড়িতে।
-
২০১১-’১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের চার টেস্টই হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। এরপর ত্রিদেশীয় ওয়ান ডে সিরিজের আগে শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র সেহবাগ ও গৌতম গম্ভীরকে নাকি ‘ক্যাপ্টেন কুল’ জানান যে, তাদেরকে এক সঙ্গে খেলাবেন না তিনি। কারণ হিসাবে শচীনদের ফিটনেস ও ফিল্ডিংকে দক্ষতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মাহি।
-
ত্রিদেশীয় সিরিজের পর দেখা যায়, টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে বিরাট কোহালির পর সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। গুজব রটে, মাহির টিমে ভাঙন ধরেছে। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ফলে, ধোনির সমালোচনায় মুখর হয় মিডিয়া। অনেকের মতে, ভুল দল নির্বাচনের ফলেই ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছিল ভারতের।
-
ধোনির নেতৃত্বে আইপিএলে খেলতে নেমে বরাবরই ফ্যানদের মাতিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। তবে ২০১৩ সালে সেই টিমেরই কর্তা গুরুনাথ মইয়াপ্পনকে গড়াপেটা ও প্রতারণার অভিযোগে পাকড়াও করে মুম্বাই পুলিশ। আঙুল উঠেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট ও ধোনির বিরুদ্ধেও। পরে অবশ্য সেই জল্পনা থিতিয়ে যায়।
-
গড়াপেটায় ধোনির নাম না জড়ালেও চেন্নাইয়ের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছিল লোঢা কমিশন। স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত ওই কমিশন আইপিএল থেকে দু’বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয় চেন্নাইকে।এরপর রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের হয়ে দু’বছর খেলেন ধোনি।
-
২০১৫ সালে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বিতর্কে নাম জড়ায় ধোনির। শোনা যায়, একটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় ১৫ শতাংশ মালিকানা ছিল ধোনির। ওই সংস্থা ধোনি ছাড়াও তার সিএসকে সতীর্থ রবীন্দ্র জাডেজা, সুরেশ রায়নার স্বার্থরক্ষার কাজেও নিযুক্ত ছিল। সেই মামলায় ধোনির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় বোর্ড।
-
স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় মালিকানা প্রসঙ্গে প্রাক্তনদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ধোনি। তবে ওই সংস্থা জানায়, বিতর্কের আগে সংস্থায় ধোনির শেয়ার থাকলেও, সেই সময় তা ছিল না। তবে তথ্য যাচাই করে অন্য রকমের প্রমাণ সামনে আসে। যদিও এ নিয়ে বেশি জলঘোলা হয়নি।
-
চলতি বছরের আইসিসি বিশ্বকাপ থেকে ছন্দে নেই ধোনি। বিশ্বকাপে তেমন সাড়া জাগানো ইনিংস খেলতে পারেননি। এমনকি বিশ্বের অন্যতম সেরা ‘ফিনিশার’-এর অবসর নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। তার বদলে টিমে ঋষভ পান্থকে টিম ইন্ডিয়ায় দেখতে চান অনেকেই।
-
বিরাট কোহলির নেতৃত্বে আইসিসি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেছিল ভারত। এরপর থেকেই তার অবসরের জল্পনা নিয়ে যেন দু’ভাগ হয়ে গিয়েছেন ফ্যান এবং প্রাক্তনেরা। বহু সেলিব্রিটিরা তার সপক্ষে মুখ খুললেও ধোনির অবসর নিয়ে এতটা আলোচনা বোধহয় আগে কখনো হয়নি।