কেমন আয়োজন ছিল নুসরাতের বিয়েতে

‘হেভিওয়েট ওয়েডিং’-এ কথার যোগ্য দাবিদার এই বিয়ে। টলিউড নায়িকা ও সাংসদ নুসরাত জাহান ও বস্ত্র ব্যবসায়ী নিখিল জৈন বাঁধা পড়তে চলেছেন সাত পাকে। প্রথমে ধরা হয়েছিল, ইস্তানবুলই নাকি নুসরাতের পছন্দের ওয়েডিং ডেস্টিনেশন। কিন্তু বিয়ের কার্ড ছাপার পর দেখা যায় গ্রিক স্থাপত্যেই ভোট দিয়েছেন হবু দম্পতি।

বিয়ের আসর বসছে বোদরুমের ‘সিক্স সেন্সেস কাপলাঙ্কায়ায়’। প্রাচীন স্থাপত্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে এ জায়গা নজর কাড়ে। প্রায় এক লক্ষ বর্গফুট এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা গোটা এলাকায় রয়েছে ছ’টিরও বেশি স্যুট, ১৪১টি গেস্ট রুম।

সমুদ্র ছুঁয়ে থাকা কাপলাঙ্কায়ায় স্পা, জিম, হেলথ সেন্টার, প্রাইভেট বিচ- কী নেই! হেলিপ্যাড তো ছিলই, এ ছাড়াও পর্যটকদের সমুদ্র-ভ্রমণের জন্য ছিল স্পিড বোটের বিশেষ ব্যবস্থাও।

তবে এ বিয়েতে একেবারেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নুসরত ও নিখিল। টলিউড থেকে একমাত্র নিমন্ত্রণ পেলেন নুসরতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিমি। শনিবার তুরস্ক পৌঁছে নুসরাতের সঙ্গে নিজের ছবিও পোস্ট করেছেন মিমি। ফ্লোরাল প্রিন্টের ড্রেস পরেছেন মিমি। হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, ‘এনজেঅ্যাফেয়ার’ অল সেট।

ইয়ট পার্টি, বোহেমিয়ান মেহেদি, পুল পার্টির পর ১৯ জুন সকালেই সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সান কিসড পার্টি। সন্ধ্যায় হয়েছে নুসরাতের বিয়ের অনুষ্ঠান।

নুসরাতের হার না মানা জেদ ও স্পষ্টবাদী হওয়ার গুণ বারবরাই মন ছুঁয়েছিল বন্ধু নিখিলের। তাই বন্ধুত্ব থেকে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হতে বেশি সময় লাগেনি। বিয়ে নিয়ে খুবই উত্তেজিত নিখিল। মেহেদির অনুষ্ঠানের পর নিজের ছবি পোস্ট করে সে কথাই জানিয়ছেন তিনি।

এক এক অনুষ্ঠানের জন্য এক একটা পোশাক ও থিম ভেবে রেখেছেন নুসরাত-নিখিল। ইয়ট পার্টিতে দু’জনেই পরেছিলেন সামার ফাঙ্ক। মেহেদির থিম ছিল একেবারেই বোহেমিয়ান টাইপ। সংগীতের জন্য ইন্দো-ওয়েস্টার্ন। তবে আজ রাতের পার্টিতে হবু বর-বউ পরবেন সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা পোশাক।

বিয়ের রাতে নুসরাত পরছেন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি করা লেহেঙ্গা। নিখিল পরবেন সব্যসাচীর ডিজাইন করা ভারী ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক।

তবে বিয়ের দিন শুধু প্রিয়বন্ধু মিমিকে নিমন্ত্রণ করলেও টালিপাড়া ও সদ্য শুরু করা রাজনৈতিক জীবনের বন্ধুদের ভোলেননি নুসরাত। দেশে ফিরে ২৫ জুন আইনি মতে বিয়ে সারবেন তারা। সেই পার্টিতে অবশ্যই নিমন্ত্রিত থাকবেন অভিনয় ও রাজনৈতিক জগতের বন্ধুরা।

খাওয়াদাওয়ার ঢালাও আয়োজনও নজর কাড়বে বইকি। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিয়ের ভোজে ভারতীয় খাবারও ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট ভাবে মেনু কী ছিল, তা এখনও জানানো হয়নি।