বলিউডের যেসব তারকা মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়েছিলেন

দীপিকা পাডুকোন : ২০১৪ সাল। ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির শেষ পর্যায়ের শুটিং চলাকালীন হঠাতই তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মনোবিদের সাহায্য ও মেডিকেশনের পরে এখন একেবারেই সুস্থ। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজে।

রণবীর সিংহ : ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এপিক পিরিয়ড ড্রামা ‘পদমাবৎ’। ছবিতে আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে এত গভীরভাবে চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন রণবীর, যে তার ব্যবহারে তা পরিষ্কার ফুটে উঠেছিল। বন্ধুদের পরামর্শে তিনি মনোবিদের সাহায্য নেন বলে জানান অভিনেতা।

রণবীর সিংহ : সঞ্জয় দত্তর বায়োপিকে অভিনয় করার পরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন রণবীর।

ইলিনা ডি’ক্রুজ : ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বরফি’ ছবির এই মিষ্টি নায়িকা এক বিশেষ ধরনের অবসাদে ভুগেছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।

হৃতিক রোশন : ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অবসাদের কথা বলেন। সঙ্গে এমনও বলেন যে, পেটের সমস্যা, কিডনির সমস্যা নিয়ে মানুষ যেমন অবলীলায় কথা বলেন, মানসিক সমস্যা নিয়েও খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

আমির খান : ছোট পর্দায় তার ‘সত্যমেব জয়তে’ অনুষ্ঠানে সমাজের নানা অন্ধকার ও অবসাদময় দিক তুলে ধরতেন আমির ও তার টিম। যে কারণে আমির খানসহ টিমের অনেকেই, পরবর্তী সময়ে ডিপ্রেশনে চলে যান।

রণদীপ হুডা : ২০১৪ সালের ‘হাইওয়ে’ ও ২০১৬ সালেরর ‘সর্বজিৎ’ ছবি দুটি ছবিই তাকে এনে দেয় সমালোচকদের নজরে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে খুবই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন চরিত্রগুলোর জন্য।

অনুশকা শর্মা : ২০১৭ সালের শেষের দিকে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন তার মানসিক অবসাদের কথা। এবং সঙ্গে এমনও বলেছিলন যে, এই অসুখ কখনোই লুকনোর ব্যাপার নয়।

সঞ্জয় দত্ত : মা, নার্গিস ও পরে স্ত্রী রিচার মৃত্যুতেই যেন জীবনের ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেছিলেন সঞ্জু। মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন অভিনেতা।

শাহরুখ খান : বলিউডের বাদশাকেও এক সময় কাবু করেছিল মানসিক অবসাদ। ২০১০ সালে তার কাধে অস্ত্রোপচার হওয়ার পরে মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েন বলে জানান কিং খান।

বরুণ ধবন : ২০১৫ সালের ‘বদলাপুর’ ছবিতে তার চরিত্রটি বেশ অন্ধকারময় ছিল। যার জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বরুণ।