বলিউড নায়িকাদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন যে পরিচালকরা
বলিউড পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সময় অভিনেত্রীদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। কারও সরাসরি নাম জড়িয়েছে। যেমন মহেশ ভট্ট-পারভিন ববি। কেউ বা সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে বিবাহিত পরিচালকরা বিয়ে ভেঙে দ্বিতীয় বার সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন।
-
রোহিত শেটির সঙ্গে ২০০৫ সালে বিয়ে হয় মায়ার। বেশ ভালই কাটছিল। ‘বোল বচ্চন’ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকে অভিনেত্রী প্রাচী দেশাইয়ের সঙ্গে এই পরিচালকের সম্পর্কের কথা রটেছিল।
-
স্ত্রী আরতির সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল অনুরাগ কাশ্যপের। ‘দেব ডি’ ছবির শুটিংয়ের সময় আলাপ হয় অভিনেত্রী কাল্কি কোয়েশ্চলিনের। তখনই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ছয় বছরের বিবাহিত জীবন ছিল তাদের। কাল্কিকে বিয়ে করেন অনুরাগ। চার বছর পর ভেঙে যায় সেই বিয়েও।
-
পরিচালক বিক্রম ভাটের সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে সুস্মিতা সেনের। প্রাক্তন মিস ইউনিভার্সের সঙ্গে নাকি লিভ-ইনও করতেন বিক্রম। বিচ্ছেদ হয়ে যায় ছোটবেলার প্রেমিকা-স্ত্রী অদিতির সঙ্গে। সুস্মিতার সঙ্গেও স্থায়ী হয়নি সম্পর্ক। তখন নাকি আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বিক্রম।
-
প্রথম স্ত্রী পায়েল খান্নার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহিত জীবনে ছেদ পড়ে আদিত্য চোপড়ার। রানি মুখার্জীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা রটেছে। কিন্তু স্বীকার করেননি পরিচালক আদিত্য চোপড়া। এড়িয়ে গিয়েছেন রানিও। পরবর্তীতে রানির সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করে নেন।
-
স্ত্রী গীতার সঙ্গে বেশ ভালোই ছিলেন পরিচালক রমেশ সিপ্পি। কিন্তু দূরদর্শনের একটি শোয়ের সময় গিয়ে আলাপ হয় অভিনেত্রী কিরণ জুনেজার সঙ্গে। রটেছিল দু’জনের সম্পর্কের কথা। প্রথমে তা প্রকাশ্যে আসেনি। পরে গীতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। কিরণকে বিয়ে করেন ‘শোলে’ পরিচালক।
-
কিরণ ভাটের সঙ্গে দিব্যি ছিলেন মহেশ। কিন্তু আলাপ হল পরভিন বেবির সঙ্গে। সম্পর্ক নিয়ে জল গড়ায় অনেক দূর। যদিও সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। পারভিনের সঙ্গে নাকি সম্পর্কও ভাঙেন মহেশ।
-
পরিচালক গুরু দত্তের স্ত্রী ছিলেন কিংবদন্তি গায়িকা গীতা দত্ত। কিন্তু নায়িকা ওয়াহিদা রহমানের প্রেমেই নাকি মজেছিলেন পরিচালক। প্রেম পূর্ণতা না পাওয়ার কারণেই নাকি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন গুরু দত্ত।
-
রাজ কাপুরের সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণা মলহোত্রর। সেটি প্রেমের বিয়ে। নার্গিসের সঙ্গে নাকি দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাজের, এমনটাই গুঞ্জন ছিল বলিউডে।