রাজ-শুভশ্রী এই স্বপ্নের প্রাসাদেই গাঁটছড়া বাঁধবেন

কলকাতা থেকে কিছু দূরে এই ঐতিহ্যবাহী বাওয়ালি রাজবাড়িতে বসছে রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বিয়ের আসর।

১১ মে হচ্ছে রাজ ও শুভশ্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান।

তবে এই বাওয়ালি রাজবাড়িটি কলকাতা থেকে ৩৩.৪ কিলোমিটার দূরে বজবজ স্টেশনের কাছে। স্টেশন থেকে নেমে রিক্সাতে কিছুটা পথ গেলেই মিলবে এই রাজপ্রসাদের দেখা।

বাওয়ালি রাজবাড়ির চারপাশে রয়েছে বেশকিছু মন্দির। গোবিন্দজী, লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দির, দ্বাদশ শিবমন্দির সহ আরও বেশকিছু মন্দির রয়েছে।

শোনা যায়, রানি রাসমণি বাওয়ালির গোপীনাথ মন্দিরের অনুকরণে দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দির তৈরি করেন।

দক্ষিণী কলকাতার টালিগঞ্জ রোডেও রয়েছে বাওয়ালিদের দুটি রাসমন্দির। যার মধ্যে একটি বড় রাসমন্দির ও অন্যটি ছোট রাসমন্দির বলেই পরিচিত।

তবে বর্তমানে বাওয়ালি রাজবাড়িটি পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে। যাদের তদারকিতে প্রাসদটি ভোল বদলে গেছে।

বছরের বিভিন্ন সময় পর্যটকরাও এই রাজবাড়িতে গিয়ে থাকেন। রাজবাড়ির ৪টি ঘর রাখা রয়েছে পর্যটকদের জন্য। যার দিন প্রতি ভাড়া প্রায় ৭,৫০০ টাকা।

এই রাজবাড়িতে থাকলে পর্যটকদের উপরি পাওনা প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো রন্ধনশৈলির খাওয়াদাওয়া।

এই রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ভাবেই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত জুটি রাজ ও শুভশ্রী।

শোনা যাচ্ছে এক্কেবারেই বাঙালি রীতি মেনেই হবে বিয়ের অনুষ্ঠান।

বিয়ের অনুষ্ঠানের পর ১৮ মে শুভশ্রীর হোম টাউন বর্ধমানে হবে রিসেপশন।

বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় এই জুটির বিয়ে নিয়ে ইতিমধ্যেই টলিপাড়ায় উন্মাদনা তুঙ্গে।

ইতিমধ্যেই রাজ-শুভশ্রীর বিয়ের কার্ডও সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।