বলিউডের পদ্মাবতী ছবির আসল কাহিনি
আলোচিত ছবি ‘পদ্মাবতী’র আসল কাহিনি জেনে নিন এবারের অ্যালবামের মাধ্যমে।
-
সিংহল রাজ্যের রাজা গন্ধর্বসেন ও তার প্রধান রানি চম্পাবতীর মেয়ে রাজকুমারী পদ্মাবতী। শুধুমাত্র লেখাপড়াই নয়, ছোট থেকেই রাজকুমারীকে শিক্ষা দেওয়া হয় অস্ত্র ও যুদ্ধ বিদ্যাতেও।
-
বিবাহযোগ্য হলে, রাজা গন্ধর্বসেন আয়োজন করেন এক সয়ম্বর সভার। পাশাপাশি, রাজকুমারী নিজে শর্ত রাখেন যে, তাদের রাজ্যের এক যোদ্ধাকে যিনি হারাতে পারবেন, তিনি তাকেই বিয়ে করবেন।
-
সেই যোদ্ধা রাজকুমারী পদ্মাবতী নিজেই ছিলেন। তবে ছদ্মবেশে। চিত্তোরের রাওয়াল রতন সিংহের কাছে হেরে যান তিনি। বিয়ে হয়ে সিংহল ছেড়ে, সুদূর রাজপুতভূমে চলে আসেন পদ্মাবতী।
-
রতন সিংহ শুধুমাত্র দক্ষ শাসকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শিল্পের পৃষ্ঠপোষকও। তার সভায় ছিলেন অনেক নামীদামি শিল্পী। যাদের মধ্যে একজন ছিলেন রাঘব চেতন। শিল্প ছাড়াও, তার ছিল এক অন্ধকার দিক।
-
শিল্পী রাঘব চেতন কালো জাদু চর্চা করতেন। এই বিদ্যাচর্চার গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য তিনি অনেককে হত্যাও করেন বলে জানা যায়।
-
দিল্লির খুব কাছে এক বনাঞ্চলে বসবাস শুরু করেন শিল্পী রাঘব চেতন। ঘটনাচক্রে, এই জঙ্গলে মাঝেমাঝেই শিকার করতে যেতেন তৎকালীন শাসক আলাউদ্দিন খিলজি।
-
সেই সুযোগই কাজে লাগান বিতাড়িত রাঘব চেতন। আলাউদ্দিন খিলজির সঙ্গে দেখা করে, শিল্পী তাকে শোনান রানি পদ্মাবতীর রূপের কথা।
-
পদ্মাবতীকে একবার শুধু চাক্ষুস দেখতে চান- আলাউদ্দিন খিলজির এই আবেদনে রতন সিংহ রাজি হলেও, রানি প্রথমে ‘না’ করে দেন। পরে অবশ্য তিনি রাজি হন একটি শর্তে— তাকে নয়, আয়নায় তার প্রতিবিম্ব দেখেই খুশি থাকতে হবে বিধর্মী রাজাকে।
-
আলাউদ্দিন খিলজি তাতেই রাজি হন। এবং মুগ্ধ হয়ে যান রানিকে দেখে। নিজের শিবিরে ফিরে গিয়ে সেখানে রতন সিংহকে আমন্ত্রণ জানান আলাউদ্দিন।
-
রতন সিংহকে বাঁচাতে তার সেনারা মরিয়া হয়ে লড়াই করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। যুদ্ধ করতে করতেই প্রাণ হারান চিত্তোরের রাজা।