সংসার চালাতে হোটেলেও কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী
তিনি ক্যারিয়ার সাজাতে এসেছিলেন শোবিজে। সংসার চালাতে হোটেলেও কাজ করেছেন। জেনে নিন এই অভিনেত্রীর জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে।
-
‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকটির কথা মনে আছে? মায়া ও মনীষার শাশুড়ি-পুত্রবধূর সম্পর্ক দর্শকদের মনে দাগ কেটেছিল। রত্না পাঠক শাহের মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে একই পর্দায় কাজ করে সাবলীল অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন মনীষা। কার অন্য নাম রূপালি। ছবি: সংগৃহীত
-
সেই মনীষা দীর্ঘ সময় ছোটপর্দা থেকে বিরতি নেওয়ার পর আবার কাজে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে ‘অনুপমা’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে সকলের মন কাড়ছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছেন রূপালি। ছবি: সংগৃহীত
-
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তার জীবনের উত্থান-পতন নিয়ে আলোচনা করেন। রূপালির বাবা বলিউড সিনেমাজগতের জনপ্রিয় পরিচলকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ‘কোরা কাগজ’, ‘তপস্যা’, ‘তৃষ্ণা’-এর মতো একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছিলেন পরিচালক অনিল গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
রাখী গুলজার, জয়া বচ্চন, রাজেশ খন্না, প্রেম চোপড়া, অমল পালেকরসহ বহু নামকরা তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন পরিচালক। রূপালি বলেছেন, ‘অভিনেতা হিসেবে সকলে রাজেশ খন্নার প্রশংসা করতেন, কিন্তু আমার কাছে বাবাই স্টার ছিলেন।’ ছবি: সংগৃহীত
-
রোজ স্কুল থেকে ফেরার পথে রূপালি ফিল্ম সেটে চলে যেতেন। অনিল যখন কাজে ব্যস্ত থাকতেন, তিনি সেই ফাঁকে শুটিং-এর কাজ দেখতেন। কী করে অভিনয় জগতে তিনি পদার্পণ করলেন, এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করায় অভিনেত্রী জানান, তারা বাবা একটি ছবির শুটিংয়ের কাজ শুরু করেছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
-
অনিল যে নায়িকাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কোনো কারণে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তখন সিনেমার সেটেই ছিলেন রূপালি। নিজের মেয়েই নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক। ছবি: সংগৃহীত
-
মাত্র ১২ বছর বয়সে ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সাহেব’ ছবিতে রূপালির প্রথম পদার্পণ। কিন্তু অনিলের পরিচালনা করা দুটি ছবি পর পর ফ্লপ করে। ছবি: সংগৃহীত
-
তাদের সংসারে আর্থিক অনটন শুরু হওয়ায় সংসারের অভাব পূরণের জন্য বিভিন্ন কাজ করতে শুরু করেন রূপালি। কখনও তিনি হোটেলের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন, কখনও ক্যাটারিংয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন অভিনেত্রী। ছবি: সংগৃহীত
-
সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী এ-ও জানান, তার বাবা যে হোটেলে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন, পরিস্থিতির কারণে সেই হোটেলেই টেবিলে টেবিলে গিয়ে খাবার পরিবেশন করেছিলেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
সেই সময় অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন মাধ্যমেও কাজ করেছিলেন রূপালি। কর্মসূত্রেই তার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় রূপালির। তিনিই অভিনেত্রীকে পরামর্শ দেন ছোটপর্দায় অভিনয়ের জন্য চেষ্টা করতে। তার পরামর্শ মেনেই এগিয়ে যান রূপালি। ছবি: সংগৃহীত
-
২০০০ সালে ‘সুকন্যা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় তার যাত্রা শুরু। তারপর ক্যারিয়ার জীবনে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রূপালি সব সময় তার বাবাকেই জীবনের পথপ্রদর্শক হিসাবে মেনেছেন। ছবি: সংগৃহীত
-
তাই ধারাবাহিকের কোরো গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করলেও তিনি অনিলের পরামর্শ নিতেন। অনিলই তাকে বলেছিলেন, কান্নার দৃশ্যে অভিনয় করতে হলে এমন দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করতে হবে যা দেখে দর্শকদের চোখেও পানি আসে। ছবি: সংগৃহীত
-
এরপর রূপালিকে ‘সঞ্জীবনী’, ‘বা, বহু ওউর বেবি’, ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’, ‘কহানি ঘর ঘর কি’-সহ বহু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় রূপালি। কিন্তু অভিনেত্রী যখন তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে, তখনই ছোটপর্দা থেকে সাময়িক অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
এই ছয় বছরে তার পরিবারের সঙ্গে, ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন রূপালি। সকলে তার এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বহু নেতিবাচক মন্তব্যও শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু তিনি কোনো কিছুর ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। তবে, ২০১৬ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। কাজে ফিরলে মন ভালো হবে ভেবে তার স্বামীই পরামর্শ দেন আবার নতুনভাবে ছোটপর্দায় কাজ শুরু করতে। ছবি: সংগৃহীত
-
বর্তমানে ছোটপর্দায় যে অভিনেত্রীরা কাজ করছেন, উপার্জনের নিরিখে শীর্ষে রয়েছেন রূপালি। ‘অনুপমা’ দিয়ে শুরু হলেও অনুমান করা যায়, তাকে ছোটপর্দার অন্যান্য ধারাবাহিকেও দেখা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত