সিনেমা হলের দুঃসময় চলছে
দীর্ঘদিন ধরে দেশের সিনেমা হলের চরম দুঃসময় চলছে। মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের অভাবে দর্শকরা যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সিনেমা হল থেকে। এরই মধ্যে দর্শকের অভাবে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে।
-
ধীরে চলছে মধুমিতা : ঢাকার প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো সিনেমা হল ‘মধুমিতা’ টিকে আছে এখনো। প্রায় ৬০ বছর আগে ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমার মধ্যদিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের পথচলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ যুগ পরে এসে এখন তা অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
-
ব্যবসা নেই চলচিচ্চত্রে : ছবিটি ঢাকার ‘গীত’ সিনেমা হলের। এখন প্রতি শোতেই প্রায় দর্শকশূন্য থাকে হল। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে না।
-
দুর্দশার আরেকটি চিত্র : ঢাকার আরেক সিনেমা হল ‘সঙ্গীত’-এরও একই অবস্থা। এ হলেও প্রায় সব আসন ফাঁকা রেখে শো চালানো প্রায় নিয়মিত ঘটনা।
-
বন্ধ হলো ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’ : ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকায় অবস্থিত ‘গীত’ ও ‘সঙ্গীত’ সিনেমা হল। গত প্রায় দশ বছর ধরে ধুকে ধুকে চলার পর এ বছর রোজার আগেই বন্ধ করা হচ্ছে হল দুটি।
-
সিনেমা হলের জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স : ২০০১ সাল থেকে দেশে সিনেমা হল বন্ধের হিড়িক শুরু হয়। ঢাকার ‘গুলিস্তান’ ও ‘নাজ’ সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হয় মার্কেট কমপ্লেক্স।
-
হল ভেঙে নতুন হল : ঢাকার ‘শ্যামলী’ সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও সেখানে আধুনিক একটি সিনেমা হল রাখা হয়েছে।
-
টিকে থাকার কৌশল : ঢাকায় যে কয়টি হল টিকে আছে, তার মধ্যে মিরপুরের ‘সনি’ সিনেমা হল একটি। দীর্ঘ দিন লোকসান দিয়ে হলটি টিকিয়ে রেখেছেন এক সময়ের চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। এই কমপ্লেক্সে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় লোকসান দিয়েও চালানো সম্ভব হচ্ছে হলটির কার্যক্রম।
-
ঢাকায় হল কমে প্রায় অর্ধেক : ঢাকার দারুসসালাম এলাকায় আরেকটি পুরনো সিনেমা হল ‘এশিয়া’। গাবতলী বাস স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এ সিনেমা হলটির দর্শক ঢাকার অন্যান্য হলের তুলনায় কিছুটা বেশি।