ষাটের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা খলিল
মৃত্যুর ১১ বছর পরও দর্শকের মনের মণিকোঠায় বেঁচে আছেন ষাটের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান নায়ক খলিল। ১৯৩৪ সালের এই দিনে ভারতের মেদিনীপুরে জন্ম তার। এই অভিনেতার পুরো নাম খলিল উল্লাহ খান। ছবি: সংগৃহীত
-
তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। সেজন্য শৈশবে তিনি বেড়ে উঠেছেন সিলেট, কৃষ্ণনগর, বগুড়া ও নোয়াখালী অঞ্চলগুলোতে। সিলেটের মদনমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
-
১৯৫১ সালে খলিল উল্লাহ খান আর্মিতে যোগ দেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি আনসার এডজুট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। মাঝে দীর্ঘ দিন তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি আনসার থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
-
খলিলের অভিনয় জীবন শুরু হয় টিভি নাটক দিয়ে। কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের পর তিনি কাজ করেন সিনেমায়। তার প্রথম সিনেমা ‘সোনার কাজল’ ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়।
-
তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পুনম কি রাত’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘উলঝান’, ‘সমাপ্তি’, ‘নদের চাঁদ’, ‘বেঈমান’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘আয়না’, ‘মধুমতি’, ‘ওয়াদা’, ‘ভাই ভাই’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘মাটির পুতুল’, ‘অভিযান’, ‘কার বউ’, ‘দিদার’, ‘আওয়াজ’, ‘নবাব সিরাজউদ দৌলা’ ও ‘ভণ্ড’ ইত্যাদি।
-
খলিল উল্লাহ খান ‘গুণ্ডা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।
-
তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান বরেণ্য এই অভিনেতা।