সোশ্যাল মিডিয়ায় গান করে তারকা হয়েছেন জয়া!
সরকারি সংগীত কলেজের শিক্ষার্থী ফাইজা জয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন তুমুল জনপ্রিয়। মন্ত্রমুগ্ধ কণ্ঠে গাওয়া তার গান এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে।
-
স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করা ফাইজা জয়ার ফলোয়ার সংখ্যা এখন সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি। প্রযুক্তির বদৌলতে শূন্য থেকে পূর্ণ সফলতা অর্জন করা ফাইজা জয়া আলাপচারিতায় জানিয়েছেন সাফল্য ও সম্ভাবনার গল্প।
-
জয়া বলেন, গানের প্রতি ভালোলাগা ছিল ছোটবেলা থেকেই। আমার মা গান করতেন, গানের হাতেখড়ি আমার মায়ের কাছেই। এবং বাবার অনুপ্রেরণায় আমার সংগীত জীবন শুরু হয়, স্বামীর প্রেরণায় এখনো গান করে যাচ্ছি।
-
স্যোলাল মিডিয়ায় গান প্রকাশ করার শুরুটা কীভাবে এবং কখন? এই প্রশ্নের জবাবে জয়া বলেন, করোনাকালে সময়ে ঘরবন্দি ছিলাম। সেই ঘরবন্দি সময়কে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই চিন্তা থেকেই স্যোসাল মিডিয়া আসা।
-
কোন বিশেষত্বর জায়গা থেকে গান প্রকাশের মাধ্যমে ফেসবুক ইউটিউব পারফেক্ট মনে হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি মাধ্যম যেখানে খুব সহজে ও অল্প সময়ে দশর্ক ও শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো যায়, দশর্ক ও শ্রোতাদের মতামত সরাসরি পাওয়া যায়।
-
তিনি আরও বলেন, প্রথমে শখের বশেই ফেসবুক পেইজে গান প্রকাশ করা শুরু করি, দর্শক- শ্রোতাদের ব্যাপক সাড়া দেখে নিয়মিত কভার করা গান, একক ও মৌলিক সংগীত প্রকাশ শুরু করি।
-
গানের জীবনের প্রেরণা কিভাবে পেলেন? অনুপ্রাণিত করেছে কে? বাবা মা উৎসাহিত করতো গান করতে। বিশেষ করে বিয়ের পর আমার স্বামী আব্দ্ল্লুাহ আল ফাহাদ সৈকত, তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় এতদূর আসতে পেরেছি।
-
সংগীত নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জয়া বলেন, আমি যেহেতু সংগীত নিয়েই পড়াশোনা করছি সেহেতু সংগীতের সাথেই থাকতে চাই। যাদের মধ্যে সংগীতের প্রতিভা আছে সেই প্রতিভাকে এগিয়ে নিতে শেখাতে চাই।
-
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে চাওয়া নিজেদের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার যেখান থেকে নিজেরা গান প্রকাশ করতে পারবো। প্রতিভাবনদের গান প্রকাশের সুযোগ করে দিতে পারবো।