দিগন্তজোড়া দৃষ্টিনন্দন কাশফুল
এখন প্রকৃতিতে চলছে শরৎকাল। শরৎকালকে বলা হয় ঋতুর রানী। এ সময়ে বাংলার আকাশে সাদা মেঘ, আর কাশফুলের কাব্যে রচিত হয় বাংলার প্রকৃতি। দিগন্তজোড়া কাশফুলের মনোরম দৃশ্য মন ভালো করে দেয়।
-
ফরিদপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্ব। সদরপুর উপজেলার ২নং আকোটের চর ইউনিয়নের আকোট বাজার সংলগ্ন একটি চর। বিশাল এই চরজুড়ে কাশবন। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
সাদা রঙের কাশফুলে ভরে উঠেছে কাশবন। দূর থেকে দেখে মনে হবে বিশাল আকৃতির সাদা বিছানার চাদর বিছিয়ে রাখা হয়েছে। যা জেলার আর কোথাও এতো বড় কাশবন খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ যতোদূর চোখ যায় শুধু কাশবন আর কাশফুল। করোনা মহামারিতে গ্রাম কিংবা শহরের মানুষের ক্লান্তি দূর করে প্রশান্তির মায়াবী আবেশ ছড়িয়ে দিচ্ছে দিগন্তজোড়া কাশফুল। সেই কাশফুলের রাজ্যে গাঁ ভাসাতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছে। ছবি আর সেলফি তুলে স্মৃতি হিসেবে ক্যামেরাবন্দি করছেন নিজেদের।ছবি: এন কে বি নয়ন
-
ফরিদপুরের এই কাশবন দেখতে যেতে হলে সদরপুর সদর থেকে মনিকোঠাবাজার হয়ে সরাসরি এক রাস্তা আকোটেরচর বাজার যেতে হবে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
যারা নিজেদের বাইকে যাবেন অথবা একটু কম সময়ে যেতে চাইলে শর্টকাট যেতে পারেন, ফরিদপুর সদর থেকে প্রথমে গজারিয়া বাজার, তারপর হাট কৃষ্ণপুর বাজার, বাজারের ভেতর দিয়ে যেতে হবে ভাষানচর নতুন বাজার, এরপর জয়বাংলা বাজার, এরপরে, জামতলা বাজার, খেজুরতলা বাজার,গাবতলা বাজার, মণিকোঠা বাজার, আকোটের চর বাজার, নদী পার হলেই গুচ্ছগ্রাম তার একটু সামনেই এই কাশবন। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকটি টিমসহ বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার নিয়ে অনেকেই ঘুরে আসা মানুষের মুখে গল্প শুনে এবং সোশাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে জেনে প্রতিদিনই অনেক লোক ঘুরতে বা দেখতে যাচ্ছেন এই কাশফুল। ঘুরতে গিয়ে প্রত্যেকেই যেন নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের মাঝে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
ঘুরতে আসা অনেকেই জানান, কালের পরিক্রমা ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফরিদপুর থেকে হারাতে বসেছে শরতের কাশফুল। একটা সময় ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় কাশবনের কাশফুলগুলো দোল খেতো মৃদু বাতাসে। এখন ফরিদপুরের গ্রাম-গঞ্জে বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশবন চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
সাধারণ মানুষের বিনোদন-প্রকৃতিকে দেখার শখ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। এ কাশবন চাষে বাড়তি পরিচর্যা ও সার প্রয়োগের প্রয়োজনও নেই। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
শরৎ এলেই নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মেলা, কাশফুলেরই সঙ্গে মিশে করছে যেন খেলা’ ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতি দুমাস পর পর একটি ঋতু বদল হয়ে থাকে। এক সময় আষাঢ় এবং শ্রাবণ মাস মিলেই বর্ষাকাল হতো। প্রকৃতির আপন ইচ্ছায় তা প্রায় পাল্টে যাওযার অতিক্রম। কিন্তু মাসের পরিবর্তন হলেও কাল অপরিবর্তিত রয়েছে। ছবি: এন কে বি নয়ন
-
তাই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বকজুড়ি খেয়াঘাটের ওপারে রোপা আমনের মাঠ পেরিয়ে মধুমতির চরে প্রকৃতির আপন সাজে সেজে কাশফুলে দোলা দিচ্ছে। ছবি: এন কে বি নয়ন