এশিয়ার সবচেয়ে বড় হাওড় হাকালুকি দেখে আসুন
আমাদের দেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে অসংখ্য নদ-নদী, হাও-বাঁওড়। আর এই হাওর-বাওরের একটা বিশাল অংশ অবস্থিত সিলেট বিভাগে। তার মধ্যে এশিয়ার সবচেয়ে বড় হাওড় হাকালুকি। সিলেট ও মৌলভীবাজারের পাঁচটি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত জল সুন্দরী হাকালুকি।
-
এই হাওড়ের পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় এবং পূর্বে পাথারিয়া পাহাড় হাকালুকির সৌন্দর্য বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। ছবি: রিপন দে
-
ছোট বড় ২৩৮টি বিল, ১০টি নদী নিয়ে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর আয়তনের এই হাওর বর্ষায় নদী খাল প্লাবিত হয়ে ২৩ হাজার হেক্টরের বিশাল জলাশয়ে পরিণত হয়। মৌলভীবাজারে ২০০ আর সিলেটে রয়েছে ৩৮টি বিল। ছবি: রিপন দে
-
হাওড়ের ৮০ ভাগ মৌলভীবাজারে আর ২০ ভাগ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। মৌলভীবাজারের বড়লেখা অংশে ৬০ ভাগ, কুলাউড়ায় ১২ ও জুড়ি উপজেলায় রয়েছে ৮ ভাগ। ছবি: রিপন দে
-
বর্ষায় হাকালুকি সাজে অপার সাজে। উত্তাল যৌবনের জয়গানে মুখরিত হয় হাওর। নীল আকাশের সাথে জলরাশির মিতালি বিমোহিত করে পর্যটকদের। বর্ষায় হাকালুকির বিস্তৃত জলরাশি দেখলে মনে হবে এ যেন মহাসাগর। যেদিকে চোখ যায় শুধু রূপালি জলের হাতছানি। ছবি: রিপন দে
-
মাঝে মাঝে চোখে পড়ে জলের বুকে দাঁড়িয়ে আছে হিজল, তমালসহ নানান জলজ বৃক্ষ। গাছের ডালে অচেনা পাখিদের আনাগোনা। মৌসুমভেদে এখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিযায়ী পাখিরা এসে আশ্রয় নেয়। যে কারণে হাকালুকি শুধু হাওড়ই নয় পরিযায়ী পাখির বৃহৎ অভয়াশ্রমও। ছবি: রিপন দে
-
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাই হাকালুকি হাওড়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশাল এই হাওরে বাস করে স্থানীয় লাখো মানুষের স্বপ্ন ও জীবিকা। ছবি: রিপন দে
-
তবে শুষ্ক মৌসুমে বদলে যায় হাকালুকির চিরচেনা রূপ। তখন আর পানি চোখে পড়ে না। অথৈ পানির হাওর তখন রূপ বদলে মেটে সবুজ মরুভূমির মতো দেখায়। তৈরী হয় অসীম দিগন্তের অচেনা পথ। এরূপ যেন আরো আকর্ষণীয়। ছবি: রিপন দে
-
শীতকালে ভোরের হাকালুকি দেখলে মনে হবে মস্তবড় দেহ নিয়ে শীতের কাছে যেন হাকালুকির আত্মসমর্পণ। বিস্তৃত হাওরের বুকে তখন কোথাও ধানী জমি তো কোথাও মহিষের বাথান। বিলগুলো তখন ভেসে ওঠে হাওড়ের বুকে। প্রায় ১১২ প্রজাতির মাছের চারণক্ষেত্র হাকালুকির বিলে ধুম পড়ে মাছ ধরার। ছবি: রিপন দে
-
বিলের তীরে বসে মাছের পাইকারি হাট। দেশী ও সুস্বাদু মাছের জন্যও বিখ্যাত এই হাওরে ঠিকে আছে অনেক বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ। ছবি: রিপন দে