সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল চোখজুড়ানো যে স্কুলের ছবি
চারদিকে সবুজের সমারোহ। বাতাসে গাছের পাতা দোলে। দেখে মনে শিহরণ জাগে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম, নাম লক্ষ্মীপুর (বহরিয়া)। সেখানেই দেখা গেল ব্যতিক্রমী একটি স্কুল। দেখে মনে হয় না এটি বিদ্যাপিঠ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই স্কুলের ছবি ভাইরাল হয়েছে।
-
এটিকে দেখে কোনো জমিদারের বাড়ি বা অভিজাত রিসোর্ট মনে হতে পারে।
-
স্কুলটিতে যেতে যেতে রাস্তার দু’পাশের গাছ-গাছালি আর পাখির কলতানে গ্রামীণ পরিবেশের ছোঁয়া যেন হৃদয় কেড়ে নেয়।
-
শহর ছেড়ে গ্রামের পথে ঢুকতেই দেখা মিলল কারুকার্য খচিত, দৃষ্টিনন্দন একটি বিদ্যাপিঠের। যেখানে দিনে সূর্য আর রাতে চাঁদের আলোয় বিদ্যাপিঠের ভবনটি আলোতে ঝলমল করছে।
-
অনেক দূর থেকে স্কুলটি দেখতে অনেক দর্শনার্থী ছুটে আসেন।
-
প্রকৃতির কাছে, গ্রামীণ পরিবেশের বিদ্যাপিঠটি নান্দনিকতায় যেন নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। আপন মনে শিশুরা খেলা করছে। মনের আনন্দে লেখাপড়া করছে। আবার দর্শনার্থীদের ভিড়ে যেন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থাপনাটি।
-
বাংলাদেশে এমন দৃষ্টিনন্দন বিদ্যাপিঠ কমই আছে। যেখানে রয়েছে প্রকৃতির কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করার সুযোগ। যেখানে ব্যতিক্রম পরিবেশে শিক্ষাদান করা হয়।
-
ব্যতিক্রম সেই বিদ্যাপিঠের নাম ‘শাহাবুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।
-
চাঁদপুরে অসাধারণ স্থাপনায় নির্মিত বিদ্যালয় ভবনের চারপাশ খোলামেলা। শুধু শ্রেণিকক্ষগুলোর অর্ধেক পর্যন্ত রঙিন টিনসেডে ঢাকা। দিনে সূর্য আর রাতে চাঁদের আলোতে জ্বলজ্বল করে ভবনটি। রয়েছে বাঁশের তৈরি ল্যাম্পশেডও। আছে দুটি আলাদা ওয়াশরুম। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে নানা সরঞ্জাম।
-
এখানে শিশুরা মনের আনন্দে খেলা করে। সবুজ দুর্বা ঘাস আর সবুজ পাতার ফাঁকে তারা যেন শৈশবকে হাসি, ঠাট্টা আর আনন্দ উপভোগ করে কাটিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে এতটাই আধুনিকতার পরশ রয়েছে যে, এর ভেতরের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে।